এই মুহূর্তে




পহেলগাঁও হামলার পরেই কাশ্মীরে একের পর এক সন্ত্রাসীর বাড়ি ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা




নিজস্ব প্রতিনিধি, কাশ্মীর: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৫ জন পর্যটক এবং একজন কাশ্মীরি নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করেছে। এর পাশাপাশি কাশ্মীরে চলছে একের পর এক জঙ্গির বাড়ি খুঁজে তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার কাজ। গত ছয় দিনে নিরাপত্তা বাহিনী ১০ জন স্থানীয় সন্ত্রাসীর বাড়ি ভেঙে দিয়েছে।

এই অভিযান অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এখনও পর্যন্ত যেসব সন্ত্রাসীর বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার সদস্য আদিল হুসেন থোকার, জাকির আহমেদ গণাই, আমির আহমেদ দার, আসিফ শেখ, শহিদ আহমেদ কুট্টে, আহসান উল হক আমির। এছাড়া জইশ-ই-মহম্মদের আমির নাজির ওয়ানি, জামিল আহমেদ শের গোজরি, দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের আদনান সফি দার এবং ফারুক আহমেদ তেদওয়া।

নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, আহসান উল হক ২০১৮ সালে পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।  সম্প্রতি কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে সে।  লস্কর কমান্ডার শহিদ আহমেদ কুট্টে একাধিক দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং জাকির আহমেদ গণি একাধিক সন্ত্রাসমূলক ঘটনা ঘটানোর কারণে আগে থেকেসেনার নজরদারিতে রয়েছে।

ফারুক আহমেদ টেডওয়া পাকিস্তান থেকে কাজ করছে। ২২ এপ্রিল মঙ্গলবারের হামলায় ঠোকার সরাসরি জড়িত বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী বাস্তুতন্ত্র ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে এই ধ্বংসযজ্ঞ এবং তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার বিকেলে পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসরণ উপত্যকায় পঁচিশজন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় ঘোড়া চালককে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংস এই হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন সন্ত্রাসী জড়িত ছিল। সৌভাগ্যবশত সেদিন যারা বেঁচে গিয়েছিলেন সেই সব প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন মৃতদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তাঁরা যখন জানিয়েছিলেন যে সকলেই হিন্দু, তখনই পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘোড়া চালক সৈয়দ হুসেন শাহ অস্ত্র কেড়ে নিতে গিয়েছিলেন সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে, তাই তাঁকেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়।

ঠাণ্ডা মাথায় করা এই হত্যাকাণ্ড সারা বিশ্বকে হতবাক ও ক্ষুব্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের শনাক্ত করবে। তারা বিশ্বের যে প্রান্তেই লুকিয়ে থাকুক, ভারতীয় সেনা তাদের খুঁজে বের করে যথোপযুক্ত শাস্তি দেবে।

পহেলগাঁও হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখা হয়েছে এবং ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে। পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিমলা চুক্তি বাতিল করেছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে ‘পাক-বান্ধব’ তুরস্কের সংস্থা

পাকিস্তানে ফের আক্রমণের প্রস্তুতি ভারতের, এবার কীভাবে দেখুন….

মারণরোগের ছোবল! ৪৪ বছরেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন জনপ্রিয় গায়িকা

বিদ্যা বালন ডিনারের আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়ায় শুটিং আটকে দিয়েছিলেন মন্ত্রী বিজয় শাহ

‘ভারতীয় সেনা-ও মোদির চরণে মাথা ঠোকে’, বেফাঁস মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর

‘পাকিস্তানকে ঋণ দিলেই ওরা জঙ্গি তৈরি করবে’, আইএমএফকে সতর্ক করলেন রাজনাথ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর