নিজস্ব প্রতিনিধি, আমরোহা: অপারেশন শেষ। ডাক্তারবাবু মহিলার পেট সুঁচ-সুতো দিয়ে সেলাই করবেন। নার্স-অ্যাটেনডেন্টরাও তৈরি। ডাক্তারবাবুর খেয়াল নেই, যে অপারেশনের সময় ব্যবহৃত ছোট তোয়ালে রয়ে গিয়েছে রোগীর পেটে। সেই অবস্থাতেই তিনি পেট সুঁচ-সুতো দিয়ে সেলাই করেন। বিষয়টি জানা যায় কিছুদিন বাদে।
অপারেশনের পর মহিলাকে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। ওষুধপত্র খাচ্ছিলেন। মাঝে-মধ্যে পেটে তিনি যন্ত্রণা অনুভব করতেন। ডাক্তারবাবুকে বিষয়টি জানালে ডাক্তারবাবু বলেন, প্রেসক্রিপশনে দেওয়া ওষুধ-পত্র খেলেই ব্যথা কমে যাবে। ওষুধ খাচ্ছেন। কিন্তু ব্যথা আর কমে না। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মহিলার দ্বিতীয়বার এক্সরের। আর সেই এক্সরে করতে গিয়ে ডাক্তারবাবুর তো বটেই, বাকিদের চোখ চড়কগাছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মহিলার পেটে সাদা রঙের একটা কাপড় রয়েছে। কাপড়টিতে সামান্য রক্তের দাগও আছে। বুঝতে তাদের বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি কী হয়েছে। তড়িঘড়ি মহিলাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। ফের কাটতে হয় পেট। বের করা হয় সেই তোয়ালে। ঘটনার কথা পাঁচকান হতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি। ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনই তাজ্জব ঘটনার সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের আমরোহার একটি নার্সিংহোমে। প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, নার্সিংহোমটি বেআইনি। ওই বেআইনি নার্সিংহোমে ভর্তি হন নাজরানা। তিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন। আর অপারেশন করেন ডা. মাতলুব। বিষয়টি শুনেছেন চিফ মেডিক্যাল অফিসার রাজীব সিঙ্ঘল। তিনি ওই নার্সিং হোম সিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।