নিজস্ব প্রতিনিধি: পেগাসাস ও কৃষক আন্দোলন নিয়ে বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভাতে ওয়ালে নেমে বিক্ষোভ দেখান ২০ জন বিরোধী দলের সাংসদ। যার মধ্যে বেছে বেছে ১২ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে টানা শীতকালীন অধিবেশনে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল সহ সাসপেন্ডেড বাকি সাংসদরা। মঙ্গলবার দিল্লি গিয়ে সেই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গান্ধি মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গেই বিক্ষোভ দেখান অভিষেক।
দলীয় সূত্রে খবর, দলীয় সাংসদদের মনোবল বৃদ্ধি করতেই এদিন ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ধর্নাস্থলে ছিলেন শান্তা ছেত্রী, দোলা সেন, শান্তনু সেন, অপরূপা পোদ্দাররাও। কংগ্রেস ও তৃণমূল সহ বাকি বিরোধী দলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে সাংসদদের সাসপেনশন তোলা না হলে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধর্না ও বিক্ষোভ চলবে। দলের সাংসদদের ধর্নায় যোগ দিয়ে অভিষেক জানিয়েছেন, ‘সাংসদদের সাসপেনশনের তীব্র নিন্দা করছি। এভাবে বিজেপি আমাদের চুপ করাতে পারবে না।’ মঙ্গলবার এই বিষয়ে সাংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন, ‘সাংসদরা ক্ষমা চাইলে তাঁদের সাসপেনশন তোলা হবে।’
যার পাল্টা দিতে গিয়ে অভিষেক বলেছেন, ‘আগে তো বিজেপির মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ক্ষমা চান। উনি যেভাবে সংসদের কক্ষে গালিগালাজ করেছেন কিংবা কটু কথা বলেছেন বিরোধী সাংসদদের সেই বিষয়ে আগে ক্ষমা চাক। বিজেপি যা ইচ্ছা করতে পারে না। সাধারণ মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছে। আমরা তাদের কথাই বলব। আন্দোলন এইভাবেই চলবে।’