নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভায় ভোট। আর সেই বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের গোয়া সফরকে বারবার খোঁচা দিয়েছে কংগ্রেস। যার পাল্টা দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেসকে ভোট দিলেই সেটা সোজা যাবে বিজেপিতে। কারণ ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ায় কংগ্রেস ১৭ জন বিধায়ক পেয়েছিল। ধরে রাখতে পারেনি। বিজেপিতে চলে গিয়েছে। তাই কংগ্রেসকে ভোট দিলেই বিজেপিতেই সেটা যাবে লিখে রাখুন। তৃণমূলের ক্ষেত্রে সেতা হবে না। কারণ কথা দিচ্ছি তৃণমূল থেকে কেউ ভোটে জিতলে কেউ অন্য দলে যাবে না। সেটা নেতা হোক কিংবা কর্মী।’
গোয়ায় জোটের প্রস্তাব প্রথম তৃণমূলই কংগ্রেসকে দিয়েছিল স্পষ্ট জানালেন সাংসদ অভিষেক। তিনি জানিয়েছেন, ‘কংগ্রেস, আপ অভিযোগ করছে তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগাভাগি করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম আহ্বান জানায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। তৃণমূল চেয়েছিল সবাই একসঙ্গে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করুক। ইগোর লড়াই নেই এখানে
জোট নিয়ে মিথ্যা বলছেন পি চিদম্বরম, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। পবন ভার্মা গিয়েছিলেন পি চিদম্বরমের কাছে জোটের প্রস্তাব নিয়ে। কিন্তু উনি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু চিদম্বরম বলছেন তৃণমূল কোনও জোট প্রস্তাব নিয়ে আসেনি। তাহলে পবন ভার্মার নামে মামলা করুন, যদি উনি মিথ্যা বলেন।’ এই প্রসঙ্গে খোদ পবন ভর্মা জানিয়েছেন, ‘আমি গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টায় দিল্লিতে চিদম্বরমের বাড়ি গিয়েছিলাম। জানিয়েছিলাম, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিরোধী জোট গড়ার পক্ষে। তাঁকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিয়েছিলাম।’
এদিন বিজেপিকেও একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলছেন তৃণমূল টাকা নিয়ে এসেছে বিধায়ক কিনছে। এই কথা ওদের মুখে মানায় না। বাংলার ভোটের আগে কী করেছিল? আর ফড়নবিশ তো কংগ্রেসের নেতাকে বলছেন একসঙ্গে লড়াই করব।’