নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর খোঁজ মিলল হেমন্ত সোরেনের। মঙ্গলবার দুপুরে রাঁচিতে ফিরলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ফেরার পরেই বুধবার দুপুর ১টায় সোরেন ইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে জানা যাচ্ছে, সেই জিজ্ঞাসাবাদের আগেই মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে বসবেন হেমন্ত সোরেন।
অন্যদিকে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় সোমবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি দল। তবে ইডির আধিকারিকরা হাজির হলেও বাড়িতে দেখা নেই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই এবার হেমন্ত সোরেনের বাসভবন, রাজভবন এবং রাঁচিতে ইডি অফিসের ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এবং ৩৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডির আধিকারিকরা।
গত ২৭ শে জানুয়ারি ইডি হেমন্ত সোরেনকে নতুন করে চিঠি পাঠিয়ে আগামী সপ্তাহে ফের আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। নয়বার ইডির সমন এড়িয়ে যাওয়া হেমন্ত সোরেনকে ২৯ জানুয়ারি বা ৩১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই কারণেই ২৯ শে জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীড় বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, ২০ শে জানুয়ারি জমি কেলেঙ্কারি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়িতে হাজির হয় ইডির দল। তারপরেই ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। তারপরেই ফের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানায় ইডি।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট ইডি প্রথম ডেকে পাঠান হেমন্ত সোরেনকে। সেই সময় হাইকোর্টে সোরেন দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তৈরি করার একমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ইডি-র দাবি, ঝাড়খণ্ডে মাফিয়াদের দ্বারা অবৈধভাবে জমির মালিকানা পরিবর্তনের একটি বিশাল চক্র- এর সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর। শুধু তাই নয় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাহেবগঞ্জে বেআইনি খনন সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি ২০২১ সালে তিনি নির্বাচনী বিধি ভেঙে নিজের নামে খনির লিজ আদায় করেছিলেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হেমন্ত সোরেন।