নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরায় বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কিংবা কর্মীদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সময় চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু সময় দেন নি শাহ। আর সেই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ তৃণমূল সাংসদরা, শাহী সাক্ষাৎ না পেয়ে নর্থ ব্লকের অফিসের বাইরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মালা রায়, অপরূপা পোদ্দার, সুখেন্দুশেখর রায়, প্রতিমা মণ্ডল, ডেরেক ও ব্রায়েন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাকি সাংসদরা ছিলেন। ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
ত্রিপুরায় পুরভোট এগিয়ে আসতেই লাগাতার আক্রমণ শানানো হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের উপর। আক্রান্ত হচ্ছেন প্রার্থীরাও। গত শনিবার থেকে যার মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। খোয়াই, তেলিয়ামুড়া কিংবা আগরতলায় বারবার আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূলের কর্মী থেকে নেতৃত্ব। যার প্রতিবাদে দিলিতে গিয়েছেন তৃণমূলের ১৬ সাংসদের প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচী রয়েছে, এছাড়াও সোমবারেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাক্ষাৎ চেয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি সকাল থেকেই জোড়া টুইট করে জানিয়েছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহাশয়, ত্রিপুরায় নৃশংস হামলার ঘটনা দেখেছেন। সাংবাদিকদের আক্রমণ করা হচ্ছে। গণতন্ত্র বিপন্ন, স্যার দয়া করে সোমবার সকালেই আমাদের সঙ্গে দেখা করুন।’ কিন্তু ‘ব্যস্ত’ অমিত সময় দেয় নি তৃণমূলের প্রতিনিধিদের।
এর মাঝেই সোমবার দুপুরেই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ উত্তর-পূর্বের রাজ্যে অশান্তির আঁচ দিল্লিতে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস।