নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিপুরায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। পুরভোট এগিয়ে আসছে যত, ততই দাঁত নখ বার করে তৃণমূলের উপর হামলা চালাচ্ছে বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডারা। গত শনিবার তেলিয়ামুড়ার পর আগরতলা থানায় সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় মাথায় হেলমেট পরে হামলা চালায় কিছু বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতি। আক্রান্ত হন সাতজন তৃণমূল নেতা, সুবল ভৌমিকের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ‘সাজানো’ মামলায় সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় ও রাতে থানায় কিংবা তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিরা। সেই ঘটনায় সোমবারই তৃণমূলের ১৬ জন সাংসদের প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়েছেন।
সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে সময় চাওয়া হলে তা দেওয়া হয় নি। যার প্রতিবাদে দিল্লিতেই নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সামনে ধর্নায় বসে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, মালা রায়, অপরূপা পোদ্দার, সুনীল মণ্ডলরা। ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ‘খেলা হবে’ শ্লোগান দিয়ে নর্থ ব্লকে প্রতিবাদের সুর পৌঁছে দিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদরা। ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সময় না দেওয়াকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন ‘ত্রিপুরায় বিজেপির তরফে গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষে যতটা লড়াই করা সম্ভব, করব।’
তোপ দেগেছেন সাংসদ দোলা সেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘ত্রিপুরাতে সামান্য পুরভোট লড়তে গিয়েছে বলে আমাদের মন্ত্রী-এমপিদের যথেচ্ছভাবে মারা হচ্ছে। হেনস্থা করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও কি মোদি- অমিত শাহ মানেন না? তা জানতে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। ২৪ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে টালবাহানা চলছে। এমপি’দেরকে অ্যাপয়েনমেন্ট দেওয়ার সাহস তাঁদের নেই ? সেই জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের সামনে এসেছি। অ্যাপোয়েন্টমেন্ট আমাদের দেওয়া হোক। আমরা বিচার চাই।’ এই বিষয়ে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দেশেখর রায় জানিয়েছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সময় দিতেই হবে। নইলে এই বিক্ষোভ চলবে।’