নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সংসদে রং বোমা কাণ্ডের পরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল দিল্লি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো দিল্লি পুলিশকে। পরিবর্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) হাতে। তবে সংসদ ভবনের বাইরে পাহারায় মোতায়েন থাকছে দিল্লি পুলিশ।
গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদ চলাকালীনই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়ে সাংসদ আসনে পৌঁছে যান মনোনরঞ্জন ডি ও সাগর শর্মা নামে দুই যুবক। সাংসদদের লক্ষ্য করে রং বোমাও ছোড়ে তারা। পরে অবশ্য দুই জনকেই পাকড়াও করে নিরাপত্তা রক্ষীদের হাতে তুলে দেন সাংসদরা। ওই একই সময় সংসদ ভবন চত্বরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ বলে স্লোগান দেন আরও দু’জন বিক্ষোভকারী। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। সংসদ হানার পরের দিন দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করেন সংসদ হানার মূল পরিকল্পনাকারী ললিত ঝাকে। আর তাঁকে পালানোয় সাহায্য করায় উমেশ কুমাওয়াত নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সংসদ হানার পরেই দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাতে অস্বস্তিতে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। কেননা দিল্লি পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন। তাই তড়িঘড়ি সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে পর্যালোচনায় বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। আর ওই বৈঠকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।