নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের উত্তর-পূর্বে ‘জোর কা ঝটকা’ দিল তৃণমূল। কংগ্রেসের ঘর থেকে ফের বড় ঘুঁটি তুলে নিল ঘাসফুল শিবির। মেঘালয় কংগ্রেসের যুব সভাপতি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। কংগ্রেসের যুব সভাপতি পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করেন রিচার্ড মারাক। তারপরেই বুধবার কংগ্রেসকে ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। এর ফলে ফের মেঘালয়ে আরও শক্তিশালী হল তৃণমূল, দুর্বল হল কংগ্রেস। মেঘালয়ে আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা সহ ১১ বিধায়ককে নিজেদের ঝুলিতে তুলে নিয়ে উত্তর-পূর্বে কার্যত কংগ্রেসের কোমড় ভেঙে দেয় তৃণমূল। এবার সংগঠনের নিরিখে প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতিকে তৃণমূল আনায় দুর্বল হল হাত শিবির।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি রিচার্ড মারাক বরাবরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ঘনিষ্ঠ। তাই মুকুল কংগ্রেস ছাড়তেই জল্পনা ছিল রিচার্ড মারাকের জার্সি বদল নিয়ে। তাই বেশি দেরি না করে ৫০০ কংগ্রেস কর্মী নিয়ে তৃণমূলে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান পর্ব সেরে ফেললেন রিচার্ড। তাঁর দাবি, মেঘালয়ে নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস। সেরাজ্যে বিরোধী দল হিসেবে ব্যর্থ কংগ্রেস। তাই বিকল্প শক্তি হিসেবে তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছেন রিচার্ড। মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা কলকাতায় এসে জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে মেঘালয়ে কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না। পুরো রাজ্যেই উড়বে তৃণমূলের পতাকা। যার শুরুটা করেই দিয়েছেন মুকুল, এটা বলাই যায়।
সূত্রের খবর, বুধবার মেঘালয়ের গারোর নিউ তুরা’ল কলেজে জনসভা করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মারাক। তাঁর সঙ্গে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের বহু পদাধিকারীও যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। উল্লেখযোগ্য, মারাকের সঙ্গে যে সব যুবনেতারা তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন মেঘালয়তে।