নিজস্ব প্রতিনিধি: হরিয়ানার জিন্দ জেলার এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একশোরও বেশি ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতারও করা হয়েছে অভিযুক্তকে। গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃক জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে জিন্দের ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ কমিটি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে তাকে বেশ কয়েকটি ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের পাঠানো রিপোর্টে অধ্যক্ষের অসদাচরণের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এরপর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই স্কুলে একজন মহিলা অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয় এবং কয়েকজন কর্মীকেও বদলি করা হয়।
এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ (যৌন হয়রানি), ৩৪১ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা) এবং ৩৪২ (ভুলভাবে আটকে রাখা) এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা পকসো আইনসহ আইনের বিভিন্ন ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে এই মাসের শুরুতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জিন্দের ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ ইমরান রাজা এর আগে বলেছিলেন যে তারা অভিযোগ করেছেন যে অধ্যক্ষ তাদের সাথে অশ্লীল কাজ করতেন।
প্রসঙ্গত, গত ছয় বছরে অন্তত ১৪২ জন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল হরিয়ানার জীন্দের এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয়েছিল ওই সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। অতিরিক্ত ডিজিপি শ্রীকান্ত যাদব বিশেষ তদন্ত কমিটিকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্যাতিত ছাত্রীদের কাউন্সেলিং করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন সেই তদন্তের ভিত্তিতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অভিযুক্তকে।