নিজস্ব প্রতিনিধি, ইম্ফল: সময় যত গড়াচ্ছে ততই উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী ইম্ফলের অদূরে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পৈত্রিক ভিটা হামলা চালানোর চেষ্টা করে একদল উন্মত্ত জনতা। শেষ পর্যন্ত শূন্যে গুলি চালিয়ে এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা। যদিও রাতে ওই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ার পরে মণিপুর পুলিশের পক্ষ থেকে জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইটার) এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রীর পৈত্রিক ভিটায় হামলা চালানোর চেষ্টার খবর ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক।’
এদিন রাতে এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানী ইম্ফলের বাইরে হেইনগাংগে মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পৈত্রিক ভিটা রয়েছে। যদিও বর্তমানে ওই পৈত্রিক ভিটায় কেউ বসবাস করেন না। রাজধানীতে সরকারের দেওয়া বাসভবনেই সপরিবারে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। হেইনগাংগের পৈত্রিক ভিটাতে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের কেউ না থাকলেও কঠোর নিরাপটত্তা রয়েছে। এদিন দু’দিক থেকে দুই বিক্ষোভ মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পৈত্রিক ভিটার সামনে জড়ো হয়। বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায়। যদিও নিরাপত্তা রক্ষীরা সেই প্রচেষ্টা বানচাল করে দেন।’
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে মণিপুর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের হামলা রুখতে পুরো এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর পৈত্রিক ভিটা আলাদাভাবে বিক্ষোভকারীরা চিহ্নিত করতে না পারেন। তাছাড়া একাধিক ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স শূন্য গুলি চালানোর পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে। নিরাপত্তা রক্ষীদের বাধার মুখে পিছু হঠে মুখ্যমন্ত্রীর পৈত্রিক ভিটার অদূরে টায়ার জ্বলিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা। যদিও কেউ জখম হয়েছেন কিনা জানা যায়নি। উল্লেখ্য, দুই মেইতেই পড়ুয়ার নৃশংস খুনের প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মণিপুর।