নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের ঘোষণা হতে বাকি এখনও ১ মাস। কিন্তু ঢাকে কাঠি পড়েই গিয়েছে। সেই ভোট বাজারেই ৫জনকে ভারতরত্ন(Bharat Ratna) দিচ্ছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল গুজরাতের বাসিন্দা এবং দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি ও বিহারের কৃষক নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকু্র। এদিন খোদ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং ও পি ভি নরসিমা রাওকেও ভারতরত্ন দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে দেশের কৃষি বিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনকেও। ঘটনাচক্রে আদবানি ছাড়া কেউই জীবিত নেই। একই সঙ্গে এই ৫জনই অবাঙালি। ভোট বাজারে এনাদের ভারতরত্ন দিতে মোদি সরকারের বিন্দুমাত্র হাত কাঁপছে না, কিন্তু বাঙালির গর্ব অহংকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে(Netaji Subhas Chandra Bose) ভারতরত্ন দেওয়ার কথা তাঁদের একবারও মনে হচ্ছে না। কেননা বাংলা(Bengal) তো বিজেপিকে(BJP) ভোট দেবে না, তাই নেতাজিকেও ভারতরত্ন দেওয়ার কথা মোদির মনে পড়ছে না।
আদবানি রামমন্দির আন্দোলনের সঙ্গেই শুধু যে জড়িত ব্যক্তিত্ব তাই নয়, কার্যত বিজেপির দুই প্রতিষ্ঠাতার অন্যতম। দলের আদি নেতাদের মাথা বললেই চলে। গত ১০ বছরে মোদির উত্থানে বিজেপির অনেক আদি নেতাই ক্ষুব্ধ। এখন ২৪’র ভোটের মুখে সেই আদবানিকেই ভারতরত্ন দিয়ে দলের আদি নেতাদের মানভঞ্জনের পথে নেমেছেন মোদি। আবার বিহারের ভোট টানতে নজর পড়েছে কর্পূরী ঠাকুরের দিকেও। অন্ধ্রপ্রদেশের তেলেগু ভোট টানতে নজর পি ভি নরসিমা রাওয়ের দিকে। সেই সঙ্গে যাদবদের ভোট টানতে নজর পড়েছে চরণ সিংয়ের দিকেও। কিন্তু নেতাজির দিকে নজর পড়েনি। কেননা বাংলা থেকে তো ২৪’র ভোটে একটাও আসন মিলবে কিনা সন্দেহ। বাঙালি বিজেপিকে কতখানি ভোট দেবে তা নিয়ে সন্দেহ। নেতাজিকে নিয়ে তাই বিজেপি রাজনীতি করতেই পারে। যখন খুশি, যেখানে খুশি। কিন্তু যার সবার আগে ভারতরত্ন পাওয়ার কথা তাঁকে সেই সম্মান দিতে একবারও মনে পড়ে না নরেন্দ্র মোদির।