এই মুহূর্তে




সব জায়গায় নয় ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান, কড়া বার্তা ভাগবতের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: উপমহাদেশের রাজনীতিতে রামমন্দির আন্দোলনকে(Ram Mandir Andolan)  হাতিয়ার করেই জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে উত্থান ঘটে বিজেপির(BJP)। সেই আন্দোলনেরই শ্লোগান ছিল ‘জয় শ্রীরাম’(Joy Sree Ram)। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বিজেপির সংস্কৃতির অন্দরে ঢুকে পড়ে তা কার্যত দলীয় শ্লোগান হয়ে যায়। মোদি জমানায় সেই শ্লোগান শুধু আর বিজেপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তা কার্যত হিন্দুত্ববাদীদের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যত্রতত্র জোর গলায়, গায়ের জোরে সেই শ্লোগান দেওয়া হচ্ছে। পিটিয়ে মানুষ মারার সময়েও উঠছে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি আবার বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের অপদস্থ করার সময়েও উঠছে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। সরকারি অনুষ্ঠানস্থলেও বাদ যাচ্ছে না, সেই শ্লোগান। অবশেষে এই শ্লোগানের ব্যবহার নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির আঁতুরঘর হিসাবে পরিচিতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা RSS’র শীর্ষ নেতৃত্ব মোহন ভাগবত(Mohan Bhagwat)।

আরও পড়ুন, দক্ষিণবঙ্গে বন্যার প্রকোপে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েকশো কোটি

গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিল্লিতে দামোদর সাতওয়ালেকরের লেখা চার বেদের হিন্দি ভাষ্য প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাগবত সমাপ্তি ভাষণ দিতে উঠতেই দর্শকাসন থেকে ‘জয় শ্রীরাম, ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত দর্শক থেকে আমন্ত্রিতদের অনেকেই সেই শ্লোগান পছন্দ ছিল না। কেননা সেই অনুষ্ঠানের সঙ্গে বিজেপি বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক ছিল না। সেতা দেখে শুনে বুঝেই ভাগবত তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই জানিয়ে দেন, সবকিছুরই একটা জায়গা রয়েছে। শ্লোগানও জায়গা আছে, এটা সেই জায়গা নয়। সর্বত্র জয় শ্রীরাম, বন্দে মাতরম শ্লোগান দেওয়া যায় না।’ ভাগবত শুধু এখানেই থেমে যাননি। যেভাবে বিজেপির নেতা থেকে শুরু করে নীচুতলার কর্মীরাও নিজেদের হিন্দু ধর্মের মালিক হিসাবে মনে করেন, আচরণ করেন, বক্তব্য রাখেন এবং যখনতখন তা নিয়ে খুন খারাপি থেকে ভাঙচুর, মারধরের যে সব কাণ্ড ঘটান তা নিয়েও ভাগবত কড়া বার্তা দিয়েছেন ঠারেঠোরে। জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সনাতন ধর্মের উত্থানের সময় এসেছে। এ বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে যাচ্ছে। আমরা এটাও জানি যে এই সময়ে, বেদের এই ভাষ্যগুলি একটি ইঙ্গিত দেয় যে এই বেদগুলি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যম। কিন্তু বেদ নিয়ে কথা বলা আমার অধিকার নয়, আপনাদের উৎসাহ দিতে এসেছি।’  

আরই পড়ুন, আর জি কর কাণ্ডে মিনাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করবে CBI, স্টেশন থেকেই সোজা CGO’র পথে বামনেত্রী

বস্তুত ভাগবতের বক্তব্যকে এখন বিজেপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জন্য কড়া সতর্কবার্তা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন যেভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগানকে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি, বিভেদ, খুনখারাপির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে তা যে গেরুয়া রাজনীতির পক্ষে যাচ্ছে না সেটা আগেই টের পেয়েছিলেন ভাগবত। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করছিলেন যদি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের যথাযথ বার্তা দেন তার জন্য। কিন্তু তা না দিতেই, গতকাল তিনি নিজে কড়া বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। যদিও সেই বার্তায় যে বিশেষ কিছু কাজ হবে এমনটা অনেকেই মনে করছেন না। কেননা গেরুয়া শিবিরের মাঝারি তলা থেকে নীচুতলার নেতাকর্মীদের রাশ এখন আর পদ্মশিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে নেই। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ‘আব কে বার ৪০০ পার’ শ্লোগান তোলা বিজেপিকে থেমে যেতে হয়েছে ২৪০’র ঘরেই। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও তাঁদের হারাতে হয়েছে লোকসভার অন্দরে। আগামী দিনে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগানের যত্রতত্র ব্যবহারে লাগাম না টানলে যে দলের হাল আরও খারাপ হবে সেটাই কাল বুঝিয়ে দিয়েছেন ভাগবত।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

Congo Fever: অশনি সঙ্কেত, কঙ্গো জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মহিলার, রাজ্যে জারি সতর্কতা

মহীরুহ পতন, ৮৬ বছরে না ফেরার দেশে পাড়ি রতন টাটার

পুজোর মধ্যেই সরকারি বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করা হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে

লক্ষ্য ভারতে হামলা? ঢাকায় গোপন বৈঠক হামাস, তালিবান ও পাকিস্তানের জঙ্গি নেতাদের

পুজো উপহার মোদি সরকারের, ২০২৮ পর্যন্ত মিলবে বিনামূল্যে রেশন

দিল্লির বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাবে না কেজরির আম আদমি পার্টি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর