নিজস্ব প্রতিনিধি: যত কাণ্ড ট্যাবলোতে। সাধারণতন্ত্রের কুচকাওয়াজে বাংলার নেতাজি ও আইএনএ বিষয়ক ট্যাবলো বাতিলের ঘটনায় চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। এর মাঝেই পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ট্যাবলো বাতিলের জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকেও চিঠি দিয়ে কারণ ব্যাখা করেছেন রাজনাথ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে আমরা শ্রদ্ধা করি। সেই সম্মান স্মারক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবস ঘোষণা করেছেন। এবার থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের উদযাপনের শুরুই হবে ২৩ জানুয়ারি থেকে। চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। বর্তমান সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
রাজনাথ সিং এও জানিয়েছেন, ‘আমি আপনাকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করতে চাই গণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে যে সব ট্যাবলো অংশ নেয় তা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত পারদর্শীতা কাজ করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিদ্বজ্জনেদের সমিতি, যার মধ্যে শিল্পকলা, সঙ্গীত কিংবা সংস্কৃতি জগতের লোকরা থাকেন। যারা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে পাঠানো প্রস্তাব খুব ভালভাবে দেখে তারপরই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়। এই চয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ২০১৬, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়েছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে জানাতে চাই এবার ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাবের মধ্যে ১২টিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ একই ভাবে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনকেও ট্যাবলো বাতিলের জবাব দিহি করেছেন রাজনাথ সিং।
বাংলার তরফে নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর কথা মাথাতে রেখেই নেতাজি ও আইএনএ বিষয়ক ট্যাবলো দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যা মৌখিক ভাবে গত শনিবার বাতিল করে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বাংলার ট্যাবলো গ্রহণের আর্জি জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যদিও সবকিছুকে গুরুত্ব না দিয়েই তুচ্ছ কারণ দেখিয়েই বাংলার ট্যাবলো বাতিল করেছে কেন্দ্র মত বিশেষজ্ঞদের। একই ভাবে তামিলের স্বাধীনতা সংগ্রামী ভি ও চিদ্মবরনমের বিষয়ক ট্যাবলো বাতিল করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। তিনিও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চান। তাঁকেও জবাব দিহি করেছেন রাজনাথ সিং।