নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ক্রস-বর্ডার সম্পর্ক বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বিশেষ করে পাকিস্তানের সীমা হায়দরের ঘটনা এই সম্পর্ককে লাইমলাইটে এনে দিয়েছে। এবার ভিসা না পেয়ে ভারতীয় বাগদত্তাকে ভার্চুয়ালি বিয়ে করলেন পাকিস্তানি মহিলা। সীমান্তরেখা এখন আর সমস্যাই নয়। প্রযুক্তির দৌড়ে ভার্চুয়ালিও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায়, এমনটাই প্রমাণ করলেন পাকিস্তানের আমিনা ও ভারতের আরবাজ খান।
করাচির বাসিন্দা আমেনা ও ভারতের যোধপুরের বাসিন্দা আরবাজ খানের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। পাকিস্তানে আরবাজের আত্মীয়দের দ্বারা আমিনার পরিবারে বিবাহের কথা চলছিল। আমিনা ভারতের ভিসা পেতে ব্যর্থ হতেই ভার্চুয়ালি তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয়। ভার্চুয়ালি হলেও রীতি-রেওয়াজে খামতি ছিলনা। বুধবার বিয়ের দিন আরবাজ তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে যোধপুরের ওসওয়াল ভবনে পৌঁছন। ইসলামিক রীতি মেনে কাজী দ্বারা তাঁদের বিবাহ সুসম্পন্ন হয়।
বিবাহের পর ভারতীয় বাসিন্দা আরবাজ বলেন, , “আমিনা ভিসার জন্য আবেদন করবে। আমি পাকিস্তানে বিয়ে করিনি কারণ সেখানে এই বিবাহ স্বীকৃত হবেনা। ভারতে পৌঁছে আমাদের আবার বিয়ে করতে হবে। অনলাইনে নিকাহ করার কারণ হল সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।” তবে আরবাজ আশা রাখছেন শীঘ্রই আমিনা ভারতের ভিসা পেয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে পাকিস্তানের বাসিন্দা সীমা হায়দার চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে আসে। নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সীমা।তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন কিনা তা নিয়ে এখনও বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। তবে কয়েক ধাপ এগিয়ে এবার ভার্চুয়ালি পাকিস্তানি মহিলা ও ভারতীয় পুরুষ বিবাহই সেরে ফেললেন।