এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দশেরার অনেক মুখ, কোথাও গঙ্গা পুজো তো কোথাও রাবণ দহন

নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিজয়া দশমী। কিন্তু সারা দেশেই যা পালিত হয় দশেরা নামে। কোথাও আবার দশাইন বলেও উল্লেখ করা হয়। নানা জাতি নানা ভাষা নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলনও মহান। ভারতের নানা প্রান্তে নানা রকম উৎসব পালন হলেও নবরাত্রির শেষে দশেরা বা দশমী পালনের রীতি প্রায় এক। তবে অঞ্চল ভেদে দশেরা পালনের আচার একেক রকম হয়। কোথাও রাবণ পোড়ানো হয় আবার কোথাও মা দুর্গার পূজা হয়। মূলত রাবণের উপর ভগবান রামের বিজয়ের প্রতীক হিসাবে বা অন্য কথায় বলতে গেলে, মন্দের উপর ভালোর বিজয় হিসাবে উদযাপিত হয় দশেরা।এখন জেনে নিন কোন এলাকায় কী রীতি।

গঙ্গা দশেরা-

মা গঙ্গার স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণকে বলা হয় গঙ্গাবরণ। এই ঘটনাকে স্মরণ করে পালন করা হয় গঙ্গা দশেরা। মূলত গঙ্গা তীরবর্তী রাজ্যগুলিতেই গঙ্গা দশেরা পালন করতে দেখা যায়। বিশেষ করে হরিদ্বার, ঋষিকেষ, বারানসী এবং পাটনায় এর চল বেশি। নবরাত্রির শেষ দিন এই এলাকার মানুষজন গঙ্গা তীরে এসে স্নান সেরে গঙ্গার আরতি করেন।

রাবন দহন-

দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বহু রাজ্যে দশেরার দিন রাবন বধ করা হয়। নবরাত্রির শেষ দিনে প্রতিকী রাবণের পুতুলে আগুন লাগিয়ে দশেরা উৎসব পালন করেন মানুষজন। একে রাবন দহন বলা হয়। ভগবান রাম এই দিনই রাবনকে বধ করেছিলেন বলে বিশ্বাস ধর্মপ্রাণ মনুষদের। তাই সমস্ত রকম অশুভ শক্তির বিনাশের প্রার্থনায় প্রতিকী রাবনের পুতুল দহন করা হয়। রামলীলা রামলীলা ময়দানে হয় সবচেয়ে বড় উৎসব। এছাড়া চণ্ডীগড়ে এবং হরিয়ানার পঞ্চকুল্লা বা বারারা এলাকায় সবচেয়ে বড় রাবণের পুতুল দহন করা হয়। রনো দিল্লি থেকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত প্রতি বছরই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। তবে করোনার জন্য গত বছর থেকে রাবন দহন ছোট করে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অংশ গ্রহন এবারও নিষেধ।

কুলু-

হিমাচল প্রদেশের কুলুর দশেরা খুবই বিখ্যাত। প্রতি বছরই উদীয়মান চাঁদের দশম দিনে অর্থাৎ বিজয়াদশমীর দিন পালিত হয় দশেরা। এবং পরবর্তী সাতদিন ধরে চলে উৎসব। কুলু উপত্যকার ধরপুর ময়দানে এই উৎসব হয়। পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ জড়ো হন এই সময়। তবে করোনা সংক্রমণের জন্য দুবছর ধরে অনুষ্ঠান হচ্ছে দর্শকদের ছাড়াই। ১৭ শতাব্দী থেকেই কুলুতে দশেরা উৎসব হয়ে আসছে। তৎকালীন রাজা জগৎ সিং এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন। তাঁর প্রাসাদ থেকে রঘুনাথ মূর্তি বিশেষ শোভাযাত্রা করে ধলপুর ময়দানে নিয়ে আসা হয়। যা দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।

মহীশূর-

দক্ষিণের শহর মহীশূরেও ধুমধাম করে হয় দশেরা উৎসব। এখানকার বিখ্যাত চামুণ্ডেশ্বরী মন্দিরে হয় এক ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা। সেই ১৫ শতকে শুরু হওয়া এই রীতি সপ্তদশ শতকে এসে জনপ্রিয়তা পায় মহীশূরের রাজাদের পৃষ্ঠপোশকতায়। দেবী চামুণ্ডেশ্বরীর মূর্তি একটি হাতির উপর সোনার থালায় রাখা হয়। সেই হাতিকে নানা রঙে সাজিয়ে তোলা হয়। অনেকগুলি হাতির বর্ণাঢ্য মিছিল দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন মহীশূরে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

তাজ্জব ঘটনা! দিব্যি বেঁচে, তবে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে শুনলেন তিনি মৃত

উধমপুরে বিয়ের পোশাকেই ভোট কেন্দ্রে হাজির নবদম্পতি

প্রথম দফার ভোটে ৪২ কেন্দ্রে লাল সতর্কতা

‘কে তুমি নন্দিনী?’ গ্যালারিতে থাকা তরুণীর রূপের ছটায় পাগল শুভমন গিল

১২ কিলোমিটার পাহাড়ি দুর্গম পথ পেরিয়ে ভোটকেন্দ্রে কর্মীরা

১৬ বছর হলেই করা যাবে লিঙ্গ পরিবর্তন, আইন পাশ সুইডিশ সংসদে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর