নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডে ২২ বছর করিনার! ‘Jab We Met’ এর গীত হোক বা ‘কভি খুশি কভি গম’-এর পু, সবটাই বলিউডের আইকনিক চরিত্র। আর এই চরিত্রগুলির মালিক বলিউডের বেবো। শুধু এই দুটিই নয়, বছরের পর বছর ধরে একগুচ্ছ আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন করিনা কাপুর (Kareena Kapoor)। কাপুর বংশের মেয়ে হয়েও বলিউডে স্বাধীন মহিলা হিসাবে নিজের পথ তৈরি করেছেন এই অভিনেত্রী, নিজের মনের কথা বলতে কখনই পিছপা হননি নায়িকা। কাপুর বংশের মেয়ে থেকে সইফ আলি খান ঘরনী, দুই সন্তানের মা সবটাই এখন নায়িকার পৃথিবী। কাপুর বংশের মেয়ে হয়েও তারকা পেশা বেছে নেওয়ার জন্যে প্রচুর প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন করিনা। তবে বলিউডে তাঁর কেরিয়ার সপ্তম সাগরে, কিন্তু কেরিয়ারের প্রচুর ছবি তিনি নিজে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। আর সেই সব ছবিগুলিই পরবর্তীতে সুপারহিট হয়ে যায়। আজ অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০২২, এই তারিখেই বলিউডের সফর শুরু করেন অভিনেত্রী। সুতরাং আজ করিনার ২২ বছর পূর্ণ হল। সেই উপলক্ষ্যে জানিয়ে দি, বলিউডের সেইসব সুপারহিট ৭ টি চলচ্চিত্র, যা বেগমের কখনই প্রত্যাখ্যান করা উচিত ছিল না।
চেন্নাই এক্সপ্রেস (CHENNAI EXPRESS)
দীপিকা পাড়ুকোন এবং শাহরুখ খান অভিনীত, চেন্নাই এক্সপ্রেস ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। যে ছবিটি গোটা বিশ্বব্যাপী বেশ কয়েকটি বক্সঅফিস রেকর্ড ভেঙে দেয়। আজ অবধি, এই চলচ্চিত্রটি ১ বিলিয়ন রুপি সংগ্রহ করেছে। তবে এই ছবির প্রস্তাব দীপিকার আগে করিনা কাপুরকেই দেওয়া হয়েছিল, সুতরাং মীনাম্মা লোচিনি আজাগুসুন্দরমের ভূমিকায় থাকার কথা ছিল দীপিকার আগে করিনার। কিন্তু বেবো চেন্নাই এক্সপ্রেসে স্বাক্ষর করেননি।
রাম-লীলা (GOLIYON KI RASLEELA RAM-LEELA)
করিনা প্রত্যাখ্যান করা এই ছবিটিতেও দীপিকা পাড়ুকোন-অভিনয় করে সেরা অভিনেত্রী স্বীকৃতি পেয়ে যান। সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত এই ছবিটিতে প্রাথমিকভাবে, রণবীর সিং এবং করিনা কাপুরের প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু বেবো তখন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু করণ জোহরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘গোরি তেরে পেয়ার ম্যায়’ ছবিটি সাইন করে ফেলেছিলেন। অবশেষে, এই ছবিতে দীপিকা লীলা চরিত্রে অভিনয় করে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করে নেন।
QUEEN
রানী মেহরার চরিত্রে অভিনয় করতে, করিনা রাজি ছিলেন না তাই এই ছবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।
দিল ধড়কনে দো (DIL DHADAKNE DO)
যদিও বেবো কোনোদিনও আফসোস করেন নি, এই সমস্ত হিট ছবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বলে। কিন্তু একটা ছবির জন্যে তিনি আক্ষেপ করেছিলেন। তা হল, ‘দিল ধড়কনে দো’। অভিনেত্রী দিল ধড়কনে প্রত্যাখ্যান করাকে তাঁর কেরিয়ারের ‘ক্ষতি’ বলেছিলেন।
বাজিরাও মাস্তানি (BAJIRAO MASTANI)
বাজিরাও মাস্তানির জন্যেও, সঞ্জয় লীলা বনসালির প্রথম পছন্দ ছিল করিনা কাপুর খান এবং সালমান খান। কিন্তু তারকারা তাঁদের টাইম দিতে দেরি করায়, পরিচালক রণবীর সিং, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং দীপিকা পাড়ুকোনকে বেছে নেন। চলচ্চিত্রটি ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল। কলাকুশলীদের অভিনয়ে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছিল সবাই।
ফ্যাশন (FASHION)
মধুর ভান্ডারকর তাঁর এই ছবির জন্যে প্রথম পছন্দ করেছিলেন করিনা কাপুরকে।কিন্তু সেই সময়ে করিনার ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে, তিনি ছবিটি হাতে নেননি।
কাল হো না হো (KAL HO NA HO)
কাল হো না হো ছবিতেও করিনা কাপুর খান শাহরুখ খান এবং সাইফ আলি খাকে কাস্টিং করার কথা ভেবেছিলেন এই ছবির পরিচালক, কিন্তু অভিনেত্রী নয়না চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি ছিলেন না। আর সেই কারণে অভিনেত্রী এবং করণ জোহরের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। তবে পরে করণের চ্যাট শো, কফি উইথ করণে বেবোর সঙ্গে করনের ভাব হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, করিনা কাপুর খানের পরবর্তী ছবি আমির খানের বিপরীতে লাল সিং চাড্ডা, যা ১১ আগস্ট মুক্তি পাবে।
