নিজস্ব প্রতিনিধি: ঠাকুর আসছে আসছে এটাই যেন আনন্দ। আসলেই তো ফুরুৎ করে কেটে গেল সপ্তাহটা, দিনগুলি। মহালয়া থেকেই কত উন্মাদনা ছিল সকলের মধ্যে, প্রায় ২ বছর পর বাংলা সেজে উঠেছিল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবে। মা আসল, একেবারে জনজোয়ারে ভরে উঠেছিল কলকাতার রাস্তা-ঘাট। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড়, খাওয়া-দাওয়া আরও কত কী! কত জামা-কাপড় কেনা, কত পরিকল্পনা জুড়ে ছিল এই চারটে দিন। কত নতুন প্রেম হয়েছে, কত প্রেম ভেঙেছে, আরো কত কী, কিন্তু নবমীর রাত থেকেই যেন মন খারাপ শুরু হয়। এবার তো উমাকে শ্বশুরবাড়ি চলে যেতে হবে। রাত পোহালেই দশমী, মায়ের বিদায়ের পালা। ঠাকুর এলো, চলেও গেল।
গতকাল সকাল থেকেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে চলছে সিঁদুর খেলা, মা কে বরণ, মায়ের পায়ে বই-খাতা ছোঁয়ানো সবকিছুই পালন করেছে বাঙালি এদিন নিষ্ঠাভরে। মিষ্টি খাইয়ে মা কে বিদায় জানিয়েছে। আর মায়ের বিসর্জনের পরেই শুরু হয়েছে শুভ বিজয়ার আমোদ-প্রমোদ। দশমীতে আমজনতার পাশাপাশি মেতে উঠেছিলেন সেলিব্রিটিরাও। সাধারণত কুমারী মেয়েরা মা কে বরণ করতে পারে না, বিবাহিত রাই একমাত্র দশমীর দিন মাকে বরণ করেন।
তবে সিঁদুর খেলায় সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। এদিন টলিপাড়ার সব সুন্দরী মাম্মিরা নিষ্ঠাভরে বরণ করলেন মা-কে। সঙ্গে অভিনেত্রী কোয়েলও তাঁর বাপের বাড়ির মা-কে বরণ করলেন। আর শুভশ্রী বরণ করলেন তাঁর পাড়ার ঠাকুর কে। একেবারে মাথা ভর্তি সিঁদুর নিয়ে, হাতে শাখা-পলায় সেজে উঠেছিলেন কোয়েল-শুভশ্রী দুজনাই।
কিছুক্ষণের জন্যে সেলিব্রিটিদের মতো আদব-কায়দা ভুলে বাঙালি বধূর সাজে সেজে উঠেছিলেন তাঁরা। ছেলে-স্বামীর সঙ্গে একেবারে লাল টুকটকে শাড়ী, মাথায় খোপা, মাথা ভর্তি সিঁদুর, কপালে টিপ, এবং হাতে শাখা-পলা পরে মা-কে বরণ করলেন শুভশ্রী।
অন্যদিকে রঞ্জিত মল্লিক কন্যা কোয়েলকেও লাল পার সাদা শাড়ী পরে সিঁদুর খেলতে দেখা গেল এবং স্বামী ও বাবার সঙ্গে ঠাকুর বিসর্জনের পথেও সামিল হতে দেখা গেল নায়িকাকে। আর দুই নায়িকার ছবিই বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।