নিজস্ব প্রতিনিধি: জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের দরুণ এখন বাংলার প্রতিটি ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডু। এই ধারাবাহিকই তাঁর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। যদিও মিঠাই এর হাত ধরেই অভিনয়ের হাত পাকা করেন অভিনেত্রী। এরপরেই বড় পর্দায় নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ চলে আসে তাঁর কাছে। দেবের বিপরীতে প্রধান ছবিতে অভিনয় করে দারুণ জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিজ্ঞাপনের শ্যুট করছেন।এছাড়াও তিনি অলওয়েজ সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়।
যাই হোক, অভিনেত্রীর অভিনয়ের গুণ তো সবার জানা! কিন্তু অভিনেত্রী যে খুবই কৃষ্ণভক্ত, তা নিশ্চয়ই সবার জানা! দিন কয়েক আগেই বৃন্দাবন থেকে ঘুরে এসেছেন অভিনেত্রী। বাড়িতে তাঁর মস্ত বড় গোপালও রয়েছে। তাই অবসর সময়টা গোপালকে নিয়েই কাটিয়ে দেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। আজ হোলি, রঙের উৎসব। আর এদিনটা গোপালের উৎসবও বলা হয়। তাই এদিনটা অভিনেত্রীর কাছেও বিশেষ, তা বলাই বাহুল্য! কিন্তু এদিন রঙ খেলায় যেমন মেতে ওঠেন ৮ থেকে ৮০ সকলেই। তেমনি অনেকেই রং খেলায় গৃহবন্দি থাকেন। যেমন সৌমিতৃষা। যদিও দোলের মরসুমে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলে জমকালো পার্টি। কিন্তু সৌমিতৃষা একেবারেই গৃহবন্দি থাকেন আজকের দিনে।
দোলের উৎসবে প্রতি বছরই সৌমিতৃষার মন টানে বৃন্দাবন। ব্রজবাসীদের সঙ্গে রং খেলার ইচ্ছে তাঁর। শোনা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই দীক্ষিত হবেন তিনি। তবে দোলে বাড়ি থেকে বেরোন না। তিথি অনুযাযী রবিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত রয়েছে দোল পূর্ণিমা। সৌমিতৃষার বাড়িতে তিথি মেনে রাধামাধবের পূজো হয়। তাই ছোটবেলা থেকেই দোলের দিন তিনি বাড়ি থেকে বেরোন না। আসলে পারিবারিক কিছু মূল্যবোধের কারণেই বাবা-মায়ের বাধ্য মেয়ে হয়ে তিনি দোলের দিন বাড়ি থেকে বেরোন না। এদিন অভিনেত্রীর বাড়িতে হরেক রকমের পদ হয়। তবে মাছ-মাংস নয়, এদিন সম্পূর্ণ নিরামিষ।তাঁর কাছে দোল মানেই শুধু কৃষ্ণ আর কৃষ্ণ।