আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুবককে দেখে অভিবাসন দফতরের কর্তাদের সন্দেহ হয়। তারা যুবককে ট্রাউজার খোলার নির্দেশ দেয়। আর খোলার পর তারা যা দেখল, তা শিউড়ে ওঠার মতো। ট্রাউজারের পকেটে রয়েছে একাধিক কাপ। রয়েছে টিকটিকি। চোরা শিকারের অভিযোগে তারা ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার লাগেজ থেকে পাওয়া গিয়েছে একাধিক বাক্স, যার মধ্যে রয়েছে কচ্ছপ, কুমীর শাবক।মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তিন সরিসৃপ।
জেরায় যুবক স্বীকার করে নিয়েছে পাচারের কথা।যুবক মেক্সিকোর। সেখান থেকে সরিসৃপ পাচার করার কথা ছিল আমেরিকায়। পাচারের জন্য তাকে দেওয়া হয়েছিল সাত লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, যুবক গাড়ি করে সরিসৃপ-সহ একাধিক বিরল প্রাণী আমেরিকায় পাচার করার মতলবে ছিল। সীমান্তে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পুলিশ তল্লাশি করলে উদ্ধার হয় একের পর এক বাক্স। ট্রাউজার থেকে মেলে সাপের বাচ্চা।
প্রাথমিক জেরায় পুলিশকে সে বলে, এই সব তাঁর পোষ্য। আমেরিকায় তার একটি ফার্ম হাউজ রয়েছে। সেই ফার্ম হাউজে সে এই সব প্রাণীদের পোষে। বিবৃতিতে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ওই যুবকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ম্যারাথন জেরা শুরু করলে সে স্বীকার করে ওই সব সরিসৃপ পাচার করাই তার উদ্দেশ্য ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত সরিসৃপের বাজারমূল্য সাত লক্ষ ৩৯ হাজার মার্কিন ডলার। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত যুবককে জেরা করে তারা সেটা জানার চেষ্টা করছে।