আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বদলে গেল চিত্রটি। শনিবার তালিবানি ফতোয়া অগ্রাহ্য করে টিভি ক্যামেরার সামনে হাজির হয়েছিলেন আফগান সংবাদ পাঠিকা ও উপস্থাপিকারা। কিন্তু রবিবার মুখ ঢেকেই খবর পড়লেন তাঁরা। আচমকাই বিদ্রোহে কেন ইতি টানা হল তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একাধিক সংবাদপাঠিকা বলেছেন, ‘নিয়োগ কর্তারা যাতে তালিবানি রোষে না পড়েন, তার জন্য বাধ্য হয়ে মুখ ঢেকে খবর পড়েছি।’
গত বৃহস্পতিবারই তালিবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশিকায় শনিবার থেকে আফগান টিভির সংবাদ পাঠিকা ও আনুষ্ঠান সঞ্চালিকাদের মুখ ঢেকে টিভির পর্দায় আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শনিবার টোলো নিউজ, শামসাদ টিভি, ওয়ান টিভি সহ একাধিক চ্যানেলে মুখ না ঢেকেই খবর পড়েছিলেন সংবাদ পাঠিকরা। তালিবানি ফতোয়া উপেক্ষা করায় তাঁদের কুর্নিশ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই উল্টোচিত্র। রবিবার মুখ ঢেকেই টিভির পর্দায় এসেছিলেন সংবাদপাঠিকা ও উপস্থাপিকারা।
এ বিষয়ে টোলো নিউজের উপস্থাপিকা ফরিদা সিয়াল এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ঘরের বাইরে যাওয়ার সময়ে হিজাব পরি, মুখ ঢেকে রাখি। কিন্তু মুখ ঢেকে ঘন্টার পর ঘন্টা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা যে কতটা কষ্টকর তা বোঝানো সম্ভব নয়। আসলে আফগানিস্তানের সামাজিক জীবন থেকে মহিলাদের মুছে ফেলতেই এমন ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।’ তালিবানি ফতোয়া প্রত্যাহারের জন্য যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগানিস্তানের বর্তমান প্রশাসকদের উপরে চাপ সৃষ্টি করে সেই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।