আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ দেড় মাস পর গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধে অবশেষে চার দিনের যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধ বিরতি গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনেছে। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বিরতি কিনা তা নিয়ে ধন্দে গাজাবাসীরা। তবে এই যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ বাড়ার পক্ষে আশাবাদী বাইডেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস থেকে এক সংবাদিক সম্মেলনে বাইডেন জানিয়েছেন, শুক্রবার প্রথম দফায় বন্দীদের মুক্তি দেওয়া সবে শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বিরতির সবে সূচনা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি মনে করছেন এই যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বাস্তব সম্মত সুযোগ আছে। তিনি ঠিক জানেন না কতদিন যুদ্ধ বিরতি বাড়তে পারে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিশ্ব যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে এই যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ হ্রাস করতে এবং বিভিন্ন দিক থেকে চাপও আসছে। তবে শিগগিরই যাবতীয় সংঘাতের অবসান ঘটবে।
তবে এদিকে, যুদ্ধ বিরতির চুক্তি অনুসারে প্রথম দিনে কারাগার থেকে ৩৯ জন প্যালেস্তাইনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইজরায়েল। বন্দিদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৫ জন তরুণ। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়। অন্যদিকে, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টেয় ১৩ জন ইজরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে প্যালেস্তাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এছাড়াও ১২ জন থাই নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলায় নিহত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। হামাস গোষ্ঠী পণবন্দি করে ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে। তারপর থেকেই গাজাকে হামাস মুক্ত করতে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। ইজরায়েলের হামলায় ১৪ হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু।