নিজস্ব প্রতিনিধি: চরম সঙ্কটের মুখে রাশিয়ার অর্থনীতি(Russian Economy)। সরকারের হাতে দেশ চালানোর মতো অর্থ থাকবে না। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন রুশ প্রভাবশালী ধনকুবের ওলেগ ডেরিপাসকা(Oleg Deripaska)। আর ওলেগের এই দাবির জেরে এখন আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের(Vladimir Putin) দেশ। সাইবেরিয়াতে(Saiberia) এক আর্থিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ওলেগ। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন যা রাশিয়ার মধ্যেও ঝড় তুলে দিয়েছে। ওলেগের এই মত তথা এই হুঁশিয়ারি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। অনেকেই একে পুতিনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হিসাবেই দেখছেন।
আরও পড়ুন রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিন, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবকে আর্জি শেখ হাসিনার
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ(Russia – Ukraine War) শুরু হতেই একের পর এক আর্থিক নিষেধাজ্ঞার খাড়া নেমে এসেছে রাশিয়ার ওপর। ফলে বেশ বিপাকে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার ওপর কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া। তারপর থেকে আগ্রাসনের ‘শাস্তি’ হিসেবে মস্কোর ওপর ১১ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলি। সেই সঙ্গে, রাশিয়ার বিদেশি মুদ্রার তহবিলের ৩০০ বিলিয়ন ডলার ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। ফলে সমস্যায় পড়ে পুতিনের দেশ। এই অবস্থায় চীন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই অবস্থায় ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার এই আগ্রাসনের তীব্র বিরোধীতায় সরব হয়েছেন ওলেগ। কার্যত এই যুদ্ধের শুরু থেকেই তার বিরোধিতা করছেন ওলেগ ডেরিপাসকা।
আরও পড়ুন রুশ ভ্যাক্সিন স্পুটনিক-ভি’ খ্যাত বৈজ্ঞানিক আন্দ্রেই বটিকভ খুন
সাইবেরিয়ার সম্মেলনে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘আগামী বছরের জন্য সরকারের হাতে কোনও অর্থ নেই। আমাদের অবিলম্বে বিদেশি বিনিয়োগ দরকার। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী বছর সরকারের হাতে দেশ চালানোর মতো অর্থ থাকবে না। তহবিল ফুরিয়ে আসছে। তাই অর্থের জন্য নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’ ঘটনাচক্রে কয়েকদিন আগে যুদ্ধের বর্ষপূর্তির মধ্যেই দেশের অর্থনীতির ঢালাও প্রশংসা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপরে পরেই ওলেগ ডেরিপাসকার এই ব্লতব্য এখন পুতিনকে রীতিমত চাপে ফেলে দিয়েছে।