আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এতদিন চলছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। এবার শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক সঙ্কট। পাকিস্তানে সবজির দাম শুনলে চোখ কপালে ওঠার যোগাড়। টম্যাটো ৫০০ টাকা পিঁয়াজ ৪০০ টাকা, আলু ১২০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে ওয়াঘার ওপারে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে প্রায় খালি হাতেই ফিরে আসছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের সাহায্য চাইতে পারে শাহাবাজ সরকার।
বেশ কিছুদিন ডামাডোলের পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন মোটের উপর শান্ত। ইমরান খান সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতায় বসেছে শাহাবাজ শরিফের সরকার। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকারের কাছ থেকে পাওয়া অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ। বোঝার উপর শাকের আঁটির মতো ওই দেশের সিন্ধু প্রদেশ, বালুচিস্তান, দক্ষিণ পঞ্জাব প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সবজির দাম অধিকাংশ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। সেখানকার বাজারে টম্যাটোর দর উঠেছে ৫০০ টাকা, পিঁয়াজের দর উঠেছে ৪০০ টাকা। যে আলু পাওয়া যেত ৪০ টাকায় যেই আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এই অবস্থায় পাক সবজি ব্যবস্যীরা চাইছেন, ভারত থেকে জরুরি ভিত্তিতে টম্যাটো ও পিঁয়াজ আমদানী করা হোক।
লাহো টম্যাটোর কিলো আর কয়েক দিনের মধ্যেই ৭০০ টাকায় পৌঁছে যাবে। বন্যার কারণে যোগান না থাকাতেই এই সঙ্কট’। লাহোর সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি রাওযাদ চিমা বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে রোজ ১০০ কনেন্টার টম্যাটো ও কন্টেনার পিঁয়াজ আসছে। তার মধ্যে লাহোরে আসছে দুই কন্টেনার টম্যাটো ও এক কন্টেনার পিঁয়াজ। যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।’ তিনি জানান, ইরান থেকেও সবজি আনা যায়, কিন্তু ইরান সরকার সবজি রফতানিতে প্রচুর ট্যাক্স চাপিয়েছে। তাই সেখান থেকে সবজি আনা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে চিমারা তাকিয়ে রয়েছেন ভারতের দিকে। ওয়াঘা দিয়ে যদি ভারত নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি পাঠায় তাহলে কিছুটা হলেও মুখে হাসি ফুটবে পাক বাসিন্দাদের। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই ভারত সরকারের কাছে সবজি পাঠানোর আবেদন করতে চলছে পাক সরকার।