নিজস্ব প্রতিনিধি: হেলমেট না পরে বাইক চালানোর সময় যদি মৃত্যু হয়, তাহলেও মিলবে বিমার পুরো টাকা। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট এমনই রায় দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত জানান, কেউ হেলমেট পরেনি মানে এটা ধরে নেওয়া যায় না যে মরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল।
১১ বছর আগে ২০১১ সালের ১৫ জুলাই বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন মেহতাব হোসেন (২৯) নামের এক বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্মী। একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে তিনি গুরুতরভাবে জখম হন। এর পর ওই যুবককে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার জন্য। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় মেহতাব হোসেনের। ওই যুবক প্রায় ১৬ হাজার টাকা বেতন পেতেন। তাঁর মৃত্যুর পর ওই যুবকের মা সায়রা বানু বিমার টাকা পাওয়ার জন্য আলিপুরের মোটর ট্রাইবিউনালে আবেদন জানান। ২০১৩ সালে ট্রাইবিউনাল প্রায় ৮ লাখ টাকা বছরে ৯ শতাংশ সুদ সহ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাঁর পাওয়ার কথা ছিল সুদ সহ মোট ২০ লাখ টাকা। ২০১৩ সালে বিমা কোম্পানি ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার চেক দেয়। এর পর বকেয়া টাকার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সায়রা।
বিমা কোম্পানির তরফে আদালতে বলা হয়, ওই যুবক যেহেতু হেলমেট ছাড়াই বাইক চালাচ্ছিলেন। তাই বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এর পর হাইকোর্টের বিচারপতি জানান, বিমা কোম্পানির এই যুক্তি আইনের চোখে গ্রাহ্য নয়। কলকাতা হাইকোর্ট ওই বিমা কোম্পানিকে বকেয়া ১১ লাখ টাকা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি সামন্ত বলেন, কেউ হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালেই প্রমাণিত হয় না যে সে মৃত্যু কামনা করেছিল। এক্ষেত্রে নিহতের পরিবারকে পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।