নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) পঞ্চায়েত নির্বাচনে(Panchayat Election) কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতে একের পর এক মামলা ঠুকেছে বিরোধীরা। সেই সব মামলাকারীদের অন্যতম হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। সেই সব মামলারই নির্যাস আদালতের রায়। সেই রায় আদালত জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Para Military Force) দিয়েই ভোট করাতে হবে আর সেটা যেন ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সমান বা তার থেকে বেশি হয়। আদালতের সেই রায় মেনেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠান। কিন্তু সেই বাহিনী পর্যাপ্ত নয়, এই দাবি নিয়ে এবং পঞ্চায়েত ভোট কয়েক দফায় করতে চেয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) এদিন মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু। সেই মামলাতেই তাঁকে ধাক্কা খেতে হল খোদ কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে। কেননা কেন্দ্র কার্যত ঘুরপথে হলেও স্বীকার করে নিয়েছে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো এখন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন মমতার শহরে চালু হচ্ছে মহিলা চালকদের E-Car App Cab
রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চাইলেও কেন্দ্র এখন পাঠাচ্ছে ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী। তার জেরে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এদিন ফের চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রকে। তাতে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী দ্রুত পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু এদিন শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় কেন্দ্র সরকারের আইনজীবী তথা দেশের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে, তা দিতে কোনও অসুবিধা নেই। ২০১৩ সালের মডেল অনুযায়ী ৫ দফায় পঞ্চায়েত ভোট হলে ৮২ হাজার বাহিনী দিতে সমস্যা হবে না। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের এই দাবি কার্যত বলে দিচ্ছে এক দফার ভোটে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো যে সম্ভব নয় সেটা একপ্রকার মেনেই নিল কেন্দ্র যা শুভেন্দুর কাছে বড় ধাক্কা।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন ১২টি রুটে চলবে সরকারি বাস
এদিন শুভেন্দুর মামলার সঙ্গেই আরও ৩টি মামলার শুনানি একযোগে চলে। সেই মামলাগুলির আবেদনকারীরা এদিন অভিযোগ জানান যে, পঞ্চায়েতের হিংসা ঠেকাতে গত ১৩ এবং ১৫ জুন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, ইচ্ছাকৃত ভাবে তা মানা হচ্ছে না। এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের প্রায় ২০,৫৮৫ আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-১ ব্লকে মনোনয়ন প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ২৭ জুনের মধ্যে কমিশনকে সমস্ত বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী ২৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।