নিজস্ব প্রতিনিধি: কাশীপুরের রহস্যমৃত্যুতে উত্তাল রাজনীতি। কী ভাবে মৃত্যু। তা জানা যায়নি এখনও। সেই বিষয় তদন্তসাপেক্ষ। এই পরিস্থিতিতেই মৃত অর্জুন চৌরাসিয়ার বাড়িতে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহ। এসেই সরাসরি রাজনৈতিক ভাবে দাগিয়ে দেন মৃত্যুর ঘটনাকে। বলেন, তৃণমূল করেছে। যা নিয়ে সরব তৃণমূল শিবির। সবুজ শিবিরের পালটা অভিযোগ, এই কাজ আসলে বিজেপি করেই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে না তো। দেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার আগেই কেন এমন প্রতিক্রিয়া, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কটাক্ষ, ‘উনি কি তবে রাজনৈতিক জ্যোতিষী?’ তবে তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হোক। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, কী ভাবে তদন্তের আগে এভাবে মিথ্যে আক্রমণ করা যায়!
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে গণ প্রত্যাখ্যানের পর এঁদের এক বছর দেখতে পাওয়া যায়নি। তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তি হওয়ার পরেই আবার চলে এসেছে রাজ্যে অশান্তি করতে। কটাক্ষ করে বলেন, তাহলে কি উনি রাজনৈতিক জ্যোতিষী? না হলে কি করে দেহ ময়নাতদন্ত হওয়ার আগেই বা তদন্তের আগেই বলে দিচ্ছেন আগে থেকে নিজের মত? এরপরেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মন্তব্য, মৃত্যুর মধ্যে রাজনীতি ঢোকানো হচ্ছে। তদন্তের আগেই করা হচ্ছে মন্তব্য। এই কাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করতে পারেন না। তিনি ঘৃণ্য রাজনীতির কাজ করছেন। এরপরেই চন্দ্রিমার কটাক্ষ, রাজনৈতিক জ্যোতিষী না হলে কেউ আগে থেকে কী করে এমন মন্তব্য করতে পারেন? তাহলে এই মামলার সাক্ষী হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি যখন সব জানেন, তখন তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
শুক্রবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, এই কাজ আসলে বিজেপিরই পরিকল্পিত নয় তো? বিজেপির অভিযোগ ছিল, পুলিশ দেহ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। চন্দ্রিমা তার উত্তরে বলেন, পুলিশ কেন দেহ ছিনিয়ে নিয়ে যাবে? নিয়ম মত পুলিশ (Police) দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছিল ময়নাতদন্তের জন্য। তারপরেই বলেন, গুজরাট দাঙ্গার পর বিজেপি একের পর এক সন্ত্রাস চালিয়েছে। ওদের মুখে শান্তির কথা মানায় না। বলেন, বিজেপি নেতাদের এই রাজ্যে আসা মানেই মিথ্যের ঝুলি নিয়ে আসা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মৃত্যু হলে তার ময়নাতদন্ত হবে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত হবে। দেখা হবে আত্মহত্যা না কি খুন। খুন হলে কে বা কারা জড়িত, কেন খুন তা খতিয়ে দেখা হবে। অপরাধীরা শাস্তি পাবে। সবার ওপরে আদালত (Court) আছে। তদন্তের আগেই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়।