নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়ার পাঁচলা দিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। সিআইডির (CID) দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এই কাণ্ডে যোগ রয়েছে বিজেপি ও হাওয়ালা। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলতেই এই টাকা! যেখান থেকে বিপুল পরিমাণ এই টাকা দেওয়া হয়েছিল সেই ব্যবসায়ীর অফিসে (বিকানির বিল্ডিং) গত মঙ্গলবার হানা দিয়েছিল সিআইডি। পলাতক ছিলেন ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়াল। সেই ব্যবসায়ীকে বুধবার আটক করেছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, বুধবার ইএম বাইপাস সংলগ্ন বাড়িতে হানা দিয়ে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র আগরওয়ালকে আটক করেছে সিআইডি। এই ব্যবসায়ীর শেয়ার ট্রেডিং অফিসেই গতকাল তল্লাশি চালিয়েছিল সিআইডি। তালা ভেঙে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া গিয়েছিল ৩ লক্ষ ৩ হাজার ৭০০ টাকা, ২৫০ টি রুপোর কয়েন, একাধিক নথি, চেক ও পাসপোর্ট। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিপুল পরিমাণ ওই টাকা বিধায়কদের কাছে নিয়ে এসেছিলেন এক যুব কংগ্রেস কর্মী। বিধায়করা ছিলেন সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে। ওই হোটেলের এক কর্মীর কাছ থেকে স্কুটার নিয়েছিলেন যুব কংগ্রেস কর্মী। সেই স্কুটার নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন লালবাজারের কাছে থাকা বিকানির বিল্ডিংয়ে। এই বিল্ডিংয়েই অফিস ওই ব্যবসায়ীর। তাঁর সঙ্গে রয়েছে হাওয়ালা যোগ।
অন্যদিকে, এই তদন্তে দিল্লিতে গিয়েছিলেন ৪ সিআইডি আধিকারিক। এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় তাঁদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। সিআইডি আধিকারিকদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। সিআইডি কর্তাদের আটকে রাখা হয় সাউথ ক্যাম্পাস থানায়। তারপর বলা হয় অপেক্ষা করতে। সিআইডির আশঙ্কা, তথ্য সরিয়ে ফেলা হতে পারে। অথচ নিয়ম মাফিক অভিযান চালানোর আগে স্থানীয় থানাকে জানিয়েছিল সিআইডি। সিআইডি কর্তাদের কাজে বাধা দেওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ৩ সিআইডি শীর্ষ কর্তা।