নিজস্ব প্রতিনিধি: হরিদেবপুরে (HARIDEVPUR) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় জমা পড়ল রিপোর্ট। দায়ী করা হয়েছে ঠিকাদারকে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী ঠিকাদারের ওপর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এলাকার কাউন্সিলর এই ঘটনায় অভিযোগ তুলেছিলেন ঠিকাদারের দিকে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, যার ত্রুটি ধরা পড়বে তাঁর ওপর নেওয়া হবে আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার দায় ঠিকাদারের। জলমগ্ন রাস্তায় জল নামার পরেও থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ। শহরের সব বাতিস্তম্ভে আর্থিংয়ের কথাও বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, জলমগ্ন রাস্তায় আলো বন্ধ রাখতে হবে। বের হয়ে থাকা তারে জড়িয়ে রাখতে হবে টেপ। প্রতিটি স্তম্ভে লাগাতে হবে আর্থিং সিট।
এই ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক কাউন্সিলর রত্না শূর। তাঁর দাবি, আগেই বলেছিলেন পাম্প চালিয়ে জল নামাতে। তবে তা শোনা হয়নি। ঠিকাদার না কি বলেছিলেন ওয়ার্ক অর্ডার নেই। ঘটনার দিন শোক প্রকাশ করে তদন্ত করতে বলে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছিলেন মেয়র। আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সী দেখেছিলেন, শহরের একাধিক জায়গায় চলছে হুকিং।
প্রসঙ্গত, বৃষ্টির ফলে এলাকায় জমেছিল জল। সেই জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে যাচ্ছিল ছেলে। যাওয়ার সময় লাইটপোস্টে হাত দিয়ে ফেলে সে। আর তারপরেই হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট। এরপর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল এলাকার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই ছাত্রকে। চিকিৎসকরা দেহ পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, মৃত্যু হয়েছে ওই বালকের। সিইএসসি’র তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই লাইটপোস্ট তাদের নয়। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় (১১৫ নম্বর ওয়ার্ড) তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর। তিনি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পাম্প চালালে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। বলেছিলেন, জমা জল সরাতে পাম্প চালাতে বলেছিলেন। অভিযোগ, তখন না কি ঠিকাদার তাঁকে বলেছিলেন, ওয়ার্ক অর্ডার নেই।
কাউন্সিলরের দাবি ছিল, এই পোস্ট বিএসএনএল –এর। আলো লাগিয়েছিল পুরসভা। সম্প্রতি ওই বাতিস্তম্ভের নিচে খোঁড়া হয়েছিল বলেও দাবি। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরে ২ টি পাম্প চালিয়ে জমে থাকা জল নামিয়েছিল পুলিশ।