নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট নিয়ে মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। আগামী সোমবার হবে এই গুরুত্বপূর্ণ শুনানি। আগামিকাল অর্থাৎ ২৫ নভেম্বরের মধ্যে যদি পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা না যায় তবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহন করা সম্ভব নয়। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারির ২১ দিন পর ভোট করতে হয়। সেক্ষেত্রে আগামীকাল যদি বিজ্ঞপ্তি জারি করা না যায় তাহলে ভোট পিছিয়ে যাবে। রাজ্যের সব পুরসভাতে এক সঙ্গে ভোট করানোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল বিজেপি নেতা। সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। অপরদিকে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞাও জারি করেনি আদালত। এ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কোনও নির্দেশিকাও দেয়নি হাই কোর্ট। ফলে আগামিকাল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে কিনা তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর আইনজীবীদের সঙ্গেও আলোচনা করছেন কমিশনের কর্তারা।
কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, হাওড়া পুরনিগমের ভোট বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কলকাতায় ভোট করতে পারে কমিশন। আগামিকাল এই মর্মেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। হাওড়া পুরনিগমের থেকে বালি পুরসভা আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। হাওড়া পুরনিগমের ৫০টি ওয়ার্ডকে আলাদা করা হয়েছে সেটা নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। রাজ্য় সরকার বিল পাশ করলেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এখনও তাতে সই করেননি। ফলে বিলটি আইনে রূপান্তরিত হয়নি। এর জেরে রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাওড়া পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে আদৌ পারবে কিনা সেটা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধন্ধ।
তবে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, আগামিকাল আইনত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে কোনও বাঁধা নেই কমিশনের। তবুও পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে। বুধবার দুপুরেই জরুরি বৈঠকে বসেছে কমিশনের কর্তারা। বৈঠকে রয়েছেন রাজ্য নির্বচন কমিশনার, কমিশনের সচিব-সহ উচ্চ পদস্থ কর্তারা। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, হাওড়া পুরনিগমের ভোট করানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। কারণ রাজ্য় সরকার হাওড়া নিয়ে তাঁদের পদক্ষেপের বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কিছু জানায়নি এখনও। রাজ্যভবনের তরফেও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। তাই হাওড়াকে বাদ দিয়ে আপাতত শুধুমাত্র কলকাতা পুরনিগমের ভোট করানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখন সব পক্ষই তাঁকিয়ে আছে এই বৈঠকের দিকে।