নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি গায়ক, সেই সঙ্গে সফল রাজনীতিবিদও। একই সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রীও। মুখ্যমন্ত্রীর আশেপাশে তাঁকে নানান সময়েই দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সরকারি অনুষ্ঠানে বা দলের অনুষ্ঠানে গানের বোল ধরেন তিনি। এবার তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পীসত্ত্বা নিয়ে জানালেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলার প্রথম শ্রেনীর এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এদিন রাজ্যের মন্ত্রী তথা গায়ক ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইন্দ্রনীল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বলেছেন, ‘বাংলা গান নিয়ে তাঁর আবেগ দেখে মুগ্ধ হই। রাজনীতিতে না এলে, গান বাজনার দুনিয়ায় দিদি একই রকম সফল হতেন। শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেগ নতুন কিছু না। নিজে ছবি আঁকেন, গানে সুর দেন, লেখেন কবিতা, ছড়াও। বাংলা গান নিয়ে অসম্ভব প্যাশনেট দিদি। গানের কথা থেকে শুরু করে সুর, সবই তাঁর কণ্ঠস্থ থাকে। একটা মানুষ এত কাজের মধ্যেও যে গানবাজনার প্রতি এই পরিমাণ আসক্তি ও ভালবাসা রাখতে পারেন, আমি দেখে অবাক হয়ে যাই। এটা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই যে তাঁকে রাজনীতিবিদ হিসেবেই ইতিহাস মনে রাখবে। কিন্তু উনি যদি রাজনীতিতে না-ও আসতেন, গান বাজনা, সাংস্কৃতিক জগতেরই মানুষ তিনি। সন্দেহ নেই, তাতেও প্রচণ্ড সফল হতেন।’
একই সঙ্গে ইন্দ্রনীলবাবু জানিয়েছেন, রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়ে কীভাবে তিনি তাঁর আগেকার জীবনকে মিস করেন। বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, মাঝে মাঝে খুব মিস করি ওই দিনগুলো। কিন্তু এখন জীবনের অগ্রাধিকার বদলে গিয়েছে। ধরুন, একই সময় আমার একটি গানের অনুষ্ঠান আছে কলকাতায়, আবার আমার কেন্দ্রের কেউ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না, এটা কানে এল। এ ক্ষেত্রে আমি গানের অনুষ্ঠানে যাব না, সোজা চলে যাব সেই মানুষটির কাছে। সরকারি পরিষেবা তাঁকে পৌঁছে দেব। এটাই আমার এই মুহূর্তের অগ্রাধিকার।’’ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘আমার কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিতেই আমার সব চেয়ে বেশি ভাল লাগে। কারণ বাঙালি মাত্রই আড্ডাপ্রিয়। এবং আড্ডা থেকেই আসে নতুন কিছু তৈরি করার প্রেরণা।’