নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে আদালতের হস্তক্ষেপে কাটল জট। প্রতিরক্ষামন্ত্রক আদালতে জানিয়ে দিয়েছে মেট্রো প্রকল্পে তাদের আপত্তি নেই। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিরক্ষামন্ত্রক লিখিত হলফনামায় জানিয়েছে, তাদের অফিসের এলাকা দিয়ে মেট্রোর কাজ হলে আপত্তি নেই। এই বিষয়ে মেট্রো নির্মাণ সংস্থান ভিএনএলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা। তাতে সন্তুষ্ট হয়েই এই মেট্রো প্রকল্পে ছাড় দিয়েছে মন্ত্রক। এবার শুধুই রাজ্য সরকারের সম্মতির অপেক্ষা, তারপরেই জোরকদমে চালু হবে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর কাজ।
মূলত টালি নালা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মাটির নীচের সুড়ঙ্গের কাজ ছিল। যাতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দিতে রাজি হচ্ছিল না প্রতিরক্ষামন্ত্রক। যার ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলায় হয়। যাতে মেট্রোর নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে আশ্বস্ত হয়েছে সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা। মূলত সেনার আপত্তি থাকার জন্যই এই মেট্রো প্রকল্পের কাজ ছিল থমকে। যা দেরীতে হলেও আদালতের হস্তক্ষেপেই শুরু হবে, এতে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সেনার তরফে আপত্তি না থাকায় রাজ্য সরকারও দ্রুত সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেবে মেট্রোর কাজের জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতার সঙ্গে শহরতলি ও মফস্বল এলাকাকে মেট্রোর সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। যার মধ্যে অন্যতম জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো। যা দীর্ঘ টালবাহানার জেরে আটকেই রয়েছে। তবে অবশেষে আদালতের হস্তক্ষেপে ও সেনার ছাড়পত্র পাওয়ায় ফের দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০১০ সালে কাজ শুরু হলেও আইনি জটিলতায় আটকে ছিল জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্প। কারণ মোমিনপুর থেকে ধর্মতলা তিনটি স্টেশন সেনা এলাকায়। ফলে, এই এলাকায় কাজের জন্য সেনা অনুমতি প্রয়োজন। সেনা নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কিছুতেই রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড-কে কাজের অনুমতি দিচ্ছিল না। রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড ও সেনার মধ্যে সমন্নয়ের অভাবের জেরেই বোরিংয়ের কাজ করতে পারছিল না টিবিএম (টানেল বোরিং মেশিন)। সেই অনুমতির জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিল রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড। যাতে বিস্তারিত আলোচনার পর অবশেষে আদালত দিয়েছে সবুজ সঙ্কেত।