এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চিনকে ধাক্কা দিয়ে খেলনা পার্ক মমতার, খুশ মোদি

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতের(India) বাজারে বিক্রি হওয়া প্রায় সব ধরনের খেলনাই(Toys) আসে চিন(China) থেকে। দেশে তৈরি খেলনা তার ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না। কিন্তু গালওয়ানে চিনের সেনাবাহিনীর হাতে ভারতের সেনাবাহিনী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কে অনেক বদল এনেছে। দেশ যাতে আর কোনও ভাবেই চিনের ওপর নির্ভরশীল না থাকে তার জন্য দেশবাসীকে সাবলম্বী হওয়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। পাশাপাশি চিন থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের সমমানের পণ্য যাতে দেশের বুকেই তৈরি করা যায় তার জন্যও কেন্দ্র সরকার উদ্যোগী হতে বলেছে দেশীয় শিল্পসংস্থাগুলিকে। তার মধ্যে খেলনাও রয়েছে। দেশের খেলনার উৎপাদক সংস্থাগুলি যাতে এদেশেই চিনের থেকেও সস্তায় খেলনা তৈরি করতে পারে সেই দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। কেননা সেই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে চিনকে যেমন টক্কর দেওয়া যাবে তেমনি দেশের বুকে কর্মসংস্থানও হবে। সেই লক্ষ্যেই এবার বাংলার বুকে একটি বেসরকারি শিল্পসংস্থাকে কলকাতার অদূরে কল্যাণীতে(Kalyani) জমি দিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। আর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাতে নাকি খুশ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুন সব ধরনের পরিচয়পত্রেই বাধ্যতামূলক KYC, উদ্যোগী মোদি

রাজ্য সরকার আগে থেকেই রাজ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গঠন ও তার মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াবার জন্য জোর দিচ্ছে। সেই সূত্রেই খেলনা তৈরির কারখানা গড়ার ওপর জোর দিচ্ছে মমতার সরকার। এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে শিল্পতালুক গড়ার জন্য জমি বরাদ্দ করেছিল ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর। এবার সেই দফতরই কল্যাণীতেও জায়গা দিচ্ছে খেলনা গড়ার পার্ক নির্মাণের জন্য। সেখানে উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। ভারত চেম্বারের উদ্যোগে দেশের খেলনা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির একটি প্রদর্শনী শুরু হয়েছে শহরে। সেখানেই রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পদফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পান্ডে জানিয়েছেন, খড়গপুরের কাছে খাসজঙ্গলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১২ একর জমি বরাদ্দ করেছে খেলনা কারখানা তৈরির জন্য। সেখানে ৫ থেকে ২০ কাঠা পর্যন্ত জমি নিজেদের চাহিদামতো পেতে পারে সংস্থাগুলি। এই শিল্পতালুকেই একটি ‘কমন ফেসিলিটি সেন্টার’ বা সবার ব্যবহারের জন্য সুবিধাকেন্দ্র গড়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেখানে সরকার এমন কিছু মেশিনপত্র বসাবে, যা শিল্পসংস্থাগুলি কাজ লাগাতে পারবে। ইতিমধ্যেই সেই তালুকে ছ’টি শিল্প সংস্থাকে কাজ চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই লোগো বদল রাজ্য পর্যটন দফতরের

পাশাপাশি, কলকাতার আশেপাশে একটি খেলনা নির্মাণের শিল্পতালুক গড়ে তুলতে চাইছিলেন খেলা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত শিল্পপতিরা। তাঁরা শহরের আশপাশে কারখানা চালু করতে সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই জানান, কল্যাণীতে তাঁরা একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন, যেখানে দু’লক্ষ বগর্ফুট জায়গা রয়েছে কারখানা গড়ার জন্য। এর পরিকাঠামো গড়েছে রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগম। যদি এখানে চাহিদা আরও বাড়ে, তাহলে তাঁরা আরও জায়গা দিতে প্রস্তুত। যদি বাইরের রাজ্যের কোনও সংস্থা এখানে তাদের উৎপাদন ইউনিট ছোট করে হলেও চালু করতে চায়, তাহলেও সরকারি তরফে সব রকমের সহায়তা মিলবে। আর মমতার সরকারের এই পদক্ষেপের কথা পৌঁছেছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কানে। আর তার জেরে তিনি বেশ খুশি হয়েছেন বলেই দিল্লির সাউথ ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

রাজ্যের মন্ত্রীদের PSO-দের ডিউটি পরিবর্তনের ভাবনা নবান্নের, নেপথ্যে কেষ্ট’র সায়গল

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর