নিজস্ব প্রতিনিধি: হরেক বিষয় থেকে ঘটনায় কেন্দ্র বনাম রাজ্যের বিরোধ নিত্যদিনই চলে আসছে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। এবার যেন সেই প্রবণতার উল্টো ছবি ধরা পড়ল নয়া দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে(Bigyan Bhawan) আয়োজিত বিচারপতি ও মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে। শনিবার সেখানেই সৌজন্যের আবহে মুখোমুখি হয়ে সংক্ষিপ্ত বৈঠক সেরে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। সেই কথার মাঝেই আঞ্চলিক ভাষাগুলিতে জোর দেওয়ার যে কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এদিনের সম্মেলনে তাতে খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এদিন ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দেশের এই দুই শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে এই পারস্পরিক সৌজন্যতা নজর টেনেছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে যেমন স্বাগত জানানো হয়েছে তেমনি স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূলও।
দিল্লিতে(New Delhi) এদিন বসেছে বিচারপতি ও মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন। সেখানেই এদিন বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে আমন্ত্রিত রয়েছেন দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। সেখানেই এদিন সাক্ষাৎ হয় মোদি-মমতার। সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের মাঝেই দুইজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। তবে উভয় তরফেই কোন কোন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে তা সামনে আনা হয়নি। তবে সেই সংক্ষিপ্ত বৈঠক যে সৌজন্যের আবহেই হয়েছে সেটা উভয় তরফ থেকেই স্বীকার করা হয়েছে। এই সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার বিকালেই দিল্লি চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। ওঠেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলোতে। সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল(Arvind Kejriwal)। ২০২৪ এর লক্ষ্যে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি তথা মোদি বিরোধী জোট গড়ে তোলার প্রক্রিয়া। আর সেই জোটের মধ্যমণি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হতে চলেছেন সেটা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন জাতীয় রাজনীতির বর্ষীয়ান নেতা তথা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার।
সেই প্রেক্ষাপতে মমতার সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাক্ষাতকে বেশ গুরুত্ব সহযোগে দেখছেন জাতীয় রাজনীতির সকলে। কেননা, সম্প্রতি দিল্লির পাশাপাশি পাঞ্জাবেও ক্ষমতা দখল করে সরকারে গড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। এমনকি কেজরিওয়াল নিজেই তারপর হাঁক পেড়েছেন জাতীয় স্তরে দলকে মেলে ধরার। তিনি যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েও রয়েছেন সেটাও নানান সময়ে নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে। তবে মোদির বিরোধী মুখ হিসাবে সবার আগে এগিয়ে রয়েছেন মমতাই। দেশজুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সেই আবহে কেজরির মমতা সাক্ষাতকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন সকলে। একই সঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রীও যেভাবে নিজে থেকে এগিয়ে এসে মমতার সঙ্গে কথা বলেন তা দেখে অনেকেই মনে করছেন জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে এখন অনেকেই চাইছেন মমতার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে। মোদিকেও তা মাথায় রাখতে হচ্ছে। মমতা তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে উঠে আসছে দেখেও তাই এদিন তিনি নিজেই এগিয়ে এসে কথা বলেছেন মমতার সঙ্গে। প্রায় ১৫ মিনিট তাঁর সঙ্গে নানান বিষয়ে কথাও বলেছেন।