নিজস্ব প্রতিনিধি: আপডেটেড ভ্যাকেন্সি বা বর্ধিত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে, এই দাবি নিয়ে গত বুধবার থেকে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা(Upper Primary job Aspirants)। প্রথমে কলকাতার ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে তাঁরা সেই বিক্ষোভ আন্দোলন সরিয়ে আনেন সল্টলেকের(Saltlake) করুণাময়ীতে বিকাশ ভবনের(Bikash Bhawan) সামনে। শুধু তাই নয়, গতকাল রাত থেকেই তাঁরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু এক রাতের অনশনের পরেই শুক্রবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লেন দুই চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই অবস্থাতেও আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছেন School Service Commission বা SSC’র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার(Sidhartha Majumdar)।
বৃহস্পতিবার থেকে হুট করেই উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা অনশন আন্দোলন শুরু করেন বিকাশ ভবনের সামনে। সারা রাত ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নীচেই বসেছিলেন তাঁরা। আর তার জেরেই শুক্রবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই চাকরিপ্রার্থী। যদিও এই ঘটনার পরেও অনশনের সিদ্ধান্ত থেকে কোনও মতেই পিছু হটতে রাজি নন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, সরকারের তরফ থেকে সাড়া না মেলা পর্যন্ত অনশন জারি রাখবেন তাঁরা। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই রাজপথে বসেছেন তাঁরা। তাই আন্দোলন গুটিয়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আন্দোলনকারীরা এদিন জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তো বলেন আইন মেনে নিয়োগ হোক। আমরাও চাই আইন মেনেই নিয়োগ হোক। অবিলম্বে সিট আপডেট করতে হবে। সরকার আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।’
যদিও এদিন SSC’র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আন্দোলনকারীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যে আবেদন নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, সেই একই দাবি নিয়ে তাঁরা আন্দোলন করতে পারেন না। প্রার্থীদের অনেকেরই চাকরির বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। আসন বাড়ানোর বিষয়টি কমিশনের হাতে নেই। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে তবেই কাজ করতে পারবো আমরা। নির্দিষ্ট যে আসন রয়েছে, সেটা মেনেই কাউন্সেলিং চলছে। আদালতে এই প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই আসন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন হাইকোর্টে। এরপর আদালত যা বলবে, সেই মতো কাজ করতে হবে। আমরা নিজে থেকে আসন বাড়াতে পারব না, সরকারও পারবে না।’