নিজস্ব প্রতিনিধি: বেশিরভাগ বাড়িতেই ফিটকিরি থাকে। এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে খুব ভাল কাজ করে। ফিটকিরি কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, এর ব্যবহার আপনার কেরিয়ারকেও ত্বরান্বিত করতে পারে। পাশাপাশি পারিবারিক, আর্থিক এবং রোগব্যাধিজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়ক।  ফিটকিরিতে অসংখ্য ওষধি গুণ রয়েছে। জল বিশুদ্ধিকরণ থেকে শুরু করে রক্তপাত বন্ধ করা- সবকিছুর জন্য ব্যবহৃত হয় ফিটকিরি। তন্ত্রশাস্ত্র অনুসারে, ফিটকিরি ব্যবহার করে আপনি আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেন। ফিটকিরির মধ্যে নেতিবাচক শক্তিকে পরাজিত করার এবং আপনার চারপাশে ইতিবাচক শক্তি বজায় রাখার ক্ষমতা রয়েছে। ফিটকিরির কিছু কৌশল সম্পর্কে আজ জেনে নিন।

যদি দোকান, ব্যবসায়িক স্থান বা কোনও প্রতিষ্ঠানে কোনও সমস্যা থাকে , ব্যবসা যদি সমৃদ্ধ না হয়, তাহলে কালো কাপড়ে ফিটকিরি বেঁধে মূল দরজায় ঝুলিয়ে দিন। এতে কর্মক্ষেত্রের সমস্ত সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হবে, সমৃদ্ধিও আসবে।

যদি আপনি ঋণের কারণে কষ্ট পান, আয় অনুযায়ী ব্যয় না হয় তাহলে একটি পান পাতায় সামান্য ফিটকিরি সঙ্গে সিঁদুর মিশিয়ে পাতাটি বেঁধে সন্ধ্যায় একটি পিপল গাছের নীচে রাখুন। উপরে রেখে দিন একটি বড় পাথর। তবে খেয়াল রাখবেন, এই কাজটি করা সময় কেউ যেন আপনাকে না দেখে। এই প্রতিকারটি টানা তিনটি বুধবার করুন। ধীরে ধীরে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এবং পারিবারিক সমস্যারও সমাধান হবে।

যদি আপনার ক্রমাগত সমস্যা হয় অথবা আপনার কোনও কাজ আটকে থাকে, তাহলে প্রতিদিন স্নানের জলে সামান্য ফিটকিরি মিশিয়ে স্নান করুন। এতে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। পাশাপাশি আপনি আর্থিকভাবেও সমৃদ্ধ হবেন।

ব্যবসায় সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের জন্য নবমী তিথির দিনে দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে পাঁচটি ফিটকিরির টুকরো একটি পরিষ্কার কারের (সুতো) সঙ্গে বাঁধুন।  ছয়টি নীল ফুল দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করুন। তারপর দশম দিনে নীল ফুলগুলো প্রবাহিত জলে (নদী, দিঘি) ঢেলে দিন। সুতোটি কোমর থেকে খুলে কোনও মেয়েকে দিন। ফিটকিরির টুকরোগুলো নিরাপদে যত্ন করে রেখে দিন। এবার ধরুন কোথাও ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন বা ব্যবসা শুরু করতে চলেছেন তখন ফিটকিরির একটি টুকরো আপনার কাছে রাখুন। এতে অবশ্যই সাফল্য আসবে, সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।

সম্পদ অর্জনের জন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফিটকিরি দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। এছাড়াও, মাঝে মাঝে ঘর মোছার জলে মিশিয়ে নিন লবন ও ফিটকিরি। তারপর ওই জলে সারা ঘর মুছুন। এটি করলে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং ইতিবাচক শক্তির সঞ্চালন বজায় থাকে। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসাও বজায় রাখে।

বাথরুমে একটি পাত্রে এক টুকরো ফিটকিরি রাখুন। প্রতি মাসে মনে করে ফিটকিরির টুকরো পরিবর্তন করবেন। এতে পরিবারের সদস্যদের সমৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্য আসবে। ফিটকিরি যেহেতু নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে, তাই করলে সম্পদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে এই একটি কাজে। কোথাও টাকা আটকে থাকলেও পাওয়া যাবে।

অনেক সময় নজর দোষ লাগে। এতে স্বাস্থ্যহানি হয়। বাড়িতে যদি কারও নজর লাগে তাহলে তাকে আগে শুইয়ে দিন। তারপর তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত সাতবার ফিটকিরির টুকরো দিয়ে আঘাত করুন। মনে রাখবেন, যখন আপনি পায়ের কাছে ফিটকিরি আনবেন তখন যেন সেই টুকরো অবশ্যই ওই ব্যক্তির পায়ের তলা স্পর্শ করে। সাতবার কাজ সম্পন্ন হলে ফিটকিরিটি পুড়িয়ে ফেলুন। এতে নজর দোষ কেটে যায়। তবে শরীর খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গেও পরামর্শ করবেন।

যদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে তাহলে বিছানার নীচে কালো কাপড়ে ফিটকিরি মুড়িয়ে রেখে দিন। এতে পরিবারে আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং সকল সদস্য একে অপরকে সম্মান করবে।