নিজস্ব প্রতিনিধি, জবলপুর (মধ্যপ্রদেশ): হাসপাতালের বিছনায় (hospital bed) শোয়া অবস্থাতেই বাবা এবং বন্ধুদের মোবাইলে ছবি পাঠিয়েছিল ১৯ বছরের তন্ময় বিশ্বকর্মা। বলেছি, আর কয়েকদিন পরেই সে বাড়ি (will return home) ফিরে যাবে। মোবাইলে ভিডিয়ো কলও করেছিল তন্ময়। ভিডিয়ো কল শেষ করার কয়েক মুহূর্তবাদে বাবাকে ফোন করে তন্ময়। হাসপাতাল তখন আগুনের (fire) গ্রাসে। সবাই প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত। তন্ময় বিশ্বকর্মা সেই আগুনের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে। নিশ্চিত হয়ে যায় মৃত্যুর (death) হাত থেকে পালিয়ে বাঁচার কোনও রাস্তা নেই। বাবাকে ফোন (called) করে তন্ময় চিৎকার করতে করতে বলতে থাকে – বাবা আমায় বাঁচাও। হাসপাতালে ভয়ঙ্কর আগুন (massive fire) । আমি হাসপাতাল থেকে বেরতে পারছি না। তোমরা কেউ তাড়াতাড়ি এসে আমায় বের করে নিয়ে যাও। আচমকাই মোবাইল (mobile) ফোনের লাইন কেটে যায়।
ছেলেকে হারিয়ে শোকে মূহ্যমান তন্ময়ের বাবা (father) । কান্না ভেজা গলায় সে জানায় – ঘরি তখন তিনটে বাজে বাজে। তার কয়েকঘণ্টা আগে ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। ছেলে তাঁর বন্ধুদের (friends) সঙ্গেও ফোনে কথাও বলে। হাসপাতাল থেকে হোয়াটসঅ্যাপে সে ওর বন্ধুদের কিছু ছবি পাঠিয়েছিল। পৌনে তিনটের পর ফের ফোনটা (mobile phone) বেজে ওঠে। ঘাবড়ে গেছিলাম। ছেলের ফোন। ও রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছে। কাঁদতে কাঁদতে (crying) ও বলতে থাকে – বাবা হাসপাতালে ভয়ঙ্কর আগুন লেগেছে। তোমরা দ্রুত হাসপাতালে (hospital) এসো। আমি আর বাঁচব না। তারপর ফোনটা আচমকাই কেটে গেল। হাসপাতালে পৌঁছে দেখি ছেলের বিছানায় (hospital bed) মরে পড়ে রয়েছে।