নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: পিছনে থাকা লাউডস্পিকারে বাজছিল, ‘ব্যস আজ কী রাত হ্যায় জিন্দেগি/ কাল হাম কাঁহা, তুম কাঁহা….।’ সেই গানের সঙ্গেই কোমর দুলিয়ে নাচছিলেন ডাকঘর বিভাগের সহ অধিকর্তা সুরেন্দ্র কুমার দীক্ষিত। কিন্তু কে তখন ভেবেছিল, সত্যিই তিনি আর থাকবেন না। ওই রাতই তাঁর শেষ রাত হবে? নাচতে নাচতেই সহকর্মীদের চোখের সামনে লুটিয়ে পড়লেন। না আর উঠলেন না। পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ থেকে ১৭ মার্চ ৩৭তম অল ইন্ডিয়া পোস্টাল হকি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ডাক বিভাগ। ভোপালের ধ্যান চাঁদ হকি স্টেডিয়ামে বসেছিল সেই আসর। অন্যতম আয়োজক হিসেবে প্রতিযোগিতা আয়োজনে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন ডাক বিভাগের সহ অধিকর্তা সুরেন্দ্র কুমার দীক্ষিত। ফাইনাল ম্যাচের আগের দিন ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে এক বিশেষ পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
সতীর্থদের সঙ্গে ওই পার্টিতে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন সুরেন্দ্র। সহকর্মীদের অনুরোধে ‘ব্যস আজ কী রাত হ্যায় জিন্দেগি/ কাল হাম কাঁহা, তুম কাঁহা…’ গানের সঙ্গে কোমরও দোলাতে শুরু করেছিলেন। নাচতে নাচতেই আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সবাই ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পরে জানিয়ে দেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে সুরেন্দ্র দীক্ষিতের।