নিজস্ব প্রতিনিধি : চলতি বছর প্যারিসে বসছে অলিম্পিকের আসর। তার আগে অলিম্পিক চলাকালীন নিরাপত্তা জোরদার করতে ৪৫টি দেশ থেকে সেনা, পুলিশ চাইল ফ্রান্স। শুক্রবার ফ্রান্স সরকার সূত্রে এই খবরই মিলেছে। যেহেতু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে, তাই এই অস্থিরতার মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষিত রাখতে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না ফ্রান্স সরকার।
অলিম্পিকের আসর যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হতে পারে সেজন্য জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। ফ্রান্স সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অলিম্পিক যতদিন চলবে, ততদিন প্যারিসে মোতায়েন থাকবে ৪৫ হাজার পুলিশ। এছাড়া মোতায়েন রাখা হচ্ছে ২০ হাজার বেসরকারি নিরাপত্তীরক্ষীকে। সেইসঙ্গে ১৫ হাজার সেনাও মোতায়েন থাকবে। কিন্তু এতকিছুর পরও ফ্রান্স সরকার মনে করছে প্যারিসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসেই ফ্রান্স সরকারের তরফে ৪৫টি দেশের কাছে অনুরোধ পৌঁছে গিয়েছে। সেই ৪৫টি দেশের মধ্যে ৩৫টি দেশ ফ্রান্সকে সাহায্য করতে রাজি হয়ে গিয়েছে। ব্রিটেন, ইটালি থেকে তো পুলিশ আসছেই, সেই সঙ্গে জার্মানি পোল্যান্ডও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েল থেকেও তাদের নিজস্ব নিরাপত্তাবাহিনী পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইজরায়েলের নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত একাধিক আধিকারিক ফ্রান্সে এসে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোথাও কোনও গলদ রয়েছে কিনা, তা তারা খতিয়ে দেখছেন। এর আগে আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় আয়োজক দেশ ছাড়াও অন্য দেশ থেকে সাহায্য এসেছে। ২০২৩ সালে কাতার বিশ্বকাপের সময় ফ্রান্সের তরফে স্নিফার ডক ও ড্রোন ধ্বংসকারী নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।