এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শচিনের অনুদান আর উত্তমবাবুর অবদানে ভোল বদলেছে স্বর্ণময়ী শাসমল শিক্ষা নিকেতনের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক সময় অস্তিত্বের সংকটে ধুঁকছিল যে স্কুলটি সেই এখন শহরের যে কোনও স্কুলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। যে স্কুলের ক্লাসরুম ছিল না, মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচালয় ছিল না, হেড মাস্টারের ঘর ছিল না, কমনরুম বা ল্যাব ছিল না, সেই স্কুলেই এখন পড়ুয়ার সংখ্যা ১২০০। পাশাপাশি সেই স্কুল এখন পঠন পাঠনের পাশাপাশি সহ পাঠ্যক্রমে জেলা ও রাজ্যস্তরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিনিধিত্ব করছে। শুনলে আরও অবাক হয়ে যাবেন যে, সেই স্কুলের পড়ুয়াদের ৮০ শতাংশই তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের। অনেকেই পরিবারের মধ্যে প্রথম সদস্য হিসেবে স্কুলের আঙিনায় পা রেখেছে। আর এই সবটাই সম্ভব হয়েছে ২জনের জন্য। প্রথমজন যাকে গোটা বিশ্ব একডাকে চেনে এবং অপরজন এই স্কুলের প্রধানশিক্ষক যাকে চলতি বছরের শিক্ষকদিবসের দিন শিক্ষারত্ন সম্মান দিয়ে সম্মাণিত করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রথমজন শচিন তেন্ডুলকর(Sachin Tendulkar) এবং দ্বিতীয়জন উত্তমকুমার মোহান্তি(Uttam Kumar Mohanty)। আর স্কুলের নাম, গোবিন্দপুর মকরামপুর স্বর্ণময়ী শাসমল শিক্ষা নিকেতন(Swarnamoyee Sashmal Siksha Niketan)। অবস্থান পশ্চিম মেদিনীপুর(Paschim Midnapur) জেলার নারায়ণগড়ে(Narayangarh)।    

২০১৬ সালে রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন সময় শচিন গোবিন্দপুর মকরামপুর স্বর্ণময়ী শাসমল শিক্ষা নিকেতনকে ৭৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে। সেই সময় স্কুলটির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। খড়গপুর থেকে বেলদা যাওয়ার রাস্তায় জাতীয় সড়কের ধারে মকরামপুর বাসস্টপ। এই বাসস্টপ লাগোয়া জমিতেই ওই স্কুলের অবস্থান। ১৯৬৫ সালে ১ জানুয়ারি গড়ে ওঠা এই স্কুল স্থানীয় জ্যোতিরামপুর, অভিরামপুর, চিরকুনিয়া, মধুরা, মুড়াকাটা এবং ঠাটরাচক সহ আশপাশ এলাকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষার একমাত্র অঙ্গন। পরিকাঠামো সমস্যায় জর্জরিত এই স্কুলে ঠিকমতো ক্লাসরুম ছিল না। স্টাফরুমের এক কোণে প্রধান শিক্ষক বসতেন। গার্লস টয়লেট ছিল না। সংস্কারের অভাবে চাঙড় খসে পড়ত। বিপদের আশঙ্কা বাড়ছিল।  মেরামতের জন্য প্রয়োজন মতো টাকা না থাকায় জীর্ণ স্কুল বিল্ডিং নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছিলেন প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্যরা। এরকম এক অবস্থায় ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে শচিন তেণ্ডুলকরের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার মোহান্তি।

সেই সময় মোট ৭৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকার এস্টিমেট বানানো হয়। লিটল মাস্টার সেইমতো অর্থ সাহায্য করেন। ২০১৭ সাল নাগাদ সেই কাজ শেষ হয়। শচিনের দেওয়া টাকায় দু’টি অতিরিক্ত ক্লাসরুম, ছ’টি ল্যাবরুম, একটি স্টাফরুম, একটি লাইব্রেরি রুম, একটি কমনরুম এবং তিনটি টয়লেট বানানো হয়। গোটা স্কুল বিল্ডিং ঝাঁ চকচকে হয়ে ওঠে। স্কুলের গ্ল্যামার বাড়তেই আশপাশ এলাকা থেকে আরও ছাত্রছাত্রী আসতে শুরু করে। এই মুহূর্তে ২৮জন শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন। ৬জন অশিক্ষক কর্মী আছেন। আর পড়ুয়ার সংখ্যা ১২০০’র বেশি। ফোক ড্যান্স, রোল প্লে কম্পিটিশন থেকে কবাডি, খো খো এবং ইয়ুথ পার্লামেন্টে ধারাবাহিক সাফল্য এনেছে এখানকার ছাত্রছাত্রীরা। একদা নানা সমস্যায় জর্জরিত এই স্কুল এখন অনেক বিদ্যালয়ের কাছে ঈর্ষণীয়। শচিনের সাহায্যেই যে স্কুলের ভোল বদলেছে সেটা স্বীকারও করেন সদ্য সদ্য শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাওয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার মোহান্তি।  

উত্তমবাবুর স্বীকারোক্তি, ‘এক সময় চাঙর খসে পড়ার আতঙ্কে রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারতাম না। প্রয়োজনের তুলনায় পরিকাঠামো ছিল না। শচীন তেণ্ডুলকরের সাংসদ কোটার আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পর আমাদের স্কুলে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। এই মুহূর্তে ১২০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। শ্রেণিকক্ষ থেকে ল্যাবরুম কিংবা লাইব্রেরি সব সুবিধা পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী এসসি, এসটি পরিবার থেকে ‘ফার্স্ট জেনারেশন লার্নার’ হিসেবে আসছে। স্কুলের রেজাল্ট আগের থেকে ভালো হচ্ছে। সহপাঠ্যক্রম কর্মসূচিতেও ছাত্রছাত্রীরা উল্লেখযোগ্য ফল করছে।’ তবে আশেপাশের গ্রামের মানুষেরা উত্তমবাবুর অবদানকেই বেশি দাম দিচ্ছেন। কেননা তিনি শচিনের কাছে স্কুলের উন্নতির জন্য টাকা না চাইলে আজ ওই স্কুলের এহেন ভোলবদল ঘটতো না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Per Day Income ৩-৪ কোটি, শাহজাহান কাণ্ডে দাবি CBI’র

পুরুলিয়ায় তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গ্রেফতার ৩

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর