নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের গুলি চালনার ঘটনা। বিএসএফ-এর লাগাতার গুলির জেরে মৃত্যু হল এক বাংলাদেশির। পাচারকারী সন্দেহে তাঁকে বিএসএফ গুলি করে বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিএসএফের গুলিতে মৃত ব্যক্তির নাম রেজাউল করিম। তার বয়স ৩৫ বছর। তিনি বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা ১নং ব্লকের গোপালপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাথাভাঙা ১নং ব্লকের গোপালপুর গ্রামে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। সেই সময় বিষয়টি নজরে আসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। তারা প্রথমে সতর্ক করে ওই ব্যক্তিদের। কিন্তু সেই কথা গুরুত্ব দেয়নি অভিযুক্তরা। এরপর বিএসএফ গুলি চালায় বলে খবর। তবে গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে বিএসএফ-এর তরফ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি এখনও। স্থানীয় সূত্রে খবর, গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ভর্তি করা হয়েছে তাকে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তিকে প্রহরায় রেখেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যদিও গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে পুলিশ বা বিএসএফের কোনও আধিকারিক মুখ খোলেননি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ওই ব্যক্তির নাম জুম্মান বাবু। তার বয়স তিরিশের কাছাকাছি। জুম্মান বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বছর ২১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হয়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে বিএসএফের কাজের এরিয়া ১৫ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিমি পর্যন্ত করা হয়েছিল। সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত ধরপাকড়, তল্লাশি থেকে শুরু করে গ্রেফতার সবই করতে পারবে বিএসএফ বলে জানানো হয়েছিল।