নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদেশের বহু দেশে স্কুলে(School) সেক্স এডুকেশন দেওয়া হয়। যাতে বয়ঃসন্ধির সময়ে তাদের মাধ্যমে গর্হিত কোনও কাজ না হয়। এদেশেও কমবয়সীদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ার জন্য বার বার স্কুলে সেক্স এডুকেশন চালু করার দাবি উঠেছে নানান সময়ে। যদিও যত না গলা এই দাবির সমর্থনে উঠেছে তার কয়েকগুণ বেশি ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। যথারীতি দাবিও ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি কোনও স্কুলে নিত্যদিন ব্যবহার করা কন্ডোম মেলে তাহলে সেখানে নিত্যদিন কোন গোপন কম্ম হচ্ছে সেটা কী ব্রহ্মাদেব জানেন? নজরে বাংলা। কেননা সেখানেই এক স্কুলে নিত্যদিন ব্যবহার করা কন্ডোম(Condom) ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। আর তার জেরে প্রশ্ন উঠেছে কে বা কারা এই জিনিস স্কুলের মধ্যে ব্যবহার করছে আর কি কারনে তা ব্যবহার করা হচ্ছে? যদিও ঘটনার জেরে এবার বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হলেন অভিভাবকেরা।
যে স্কুলে এহেন ঘটনা ঘটেছে তার অবস্থান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা(Deganga) ব্লকের কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোগরা এলাকায়। সেখানে মোগরা জুনিয়ার এফ পি স্কুলে শুক্রবার সকালে স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার(Postar) সাঁটিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেননা, প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, ওই স্কুলের গেটে বা ক্লাসরুমের দরজায় ব্যবহার করা কন্ডোম ঝুলছে। বৃহস্পতিবার স্কুলের গেটে তালার পাশে একটি কন্ডোম ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পান অভিভাবকরা। আর তারপরই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এদিন সকালে সেখানে পোস্টার দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সেই পোস্টারে তাঁরা লিখে দিয়েছেন, ‘নোংরামি মুক্ত বিদ্যালয় চাই, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই’। কিন্তু এই বিক্ষোভের বাইরেও বড় প্রশ্ন হচ্ছে ওই কন্ডোম কী স্কুলের কেউ ব্যবহার করছে?
যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বাইরের লোকেরা স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এবং স্কুলের বদনাম করার জন্য এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। শুধু কন্ডোম ঝুলিয়ে দেওয়াই নয়, তাঁরা স্কুলের বারান্দায় নিত্যদিন নানান বর্জ্য পদার্থ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি মলমূত্রও ছোঁড়া হচ্ছে। আর এই সবই করা হচ্ছে রাতের অন্ধকারে। দিনের বেলায় কিছু হচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকমহল। তাঁরা এই পরিবেশে ছেলেমেয়দের এই স্কুলে পড়ানো নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। ঘটনার জেরে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।