এই মুহূর্তে




শোভনের পদপ্রাপ্তির পরে বৈশাখীর ইস্তফা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করল উচ্চশিক্ষা দফতর

নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী নন তা ছাড়াও আরও একটি পরিচয় রয়েছে। ছিলেন মিল্লি আল আমিন কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা। সম্প্রতি তাঁর এই পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা দফতরের একটি সাম্প্রতিক চিঠির জেরে তৈরি হয়েছিল কিছু জটিলতা। এবার রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত নির্দেশ স্থগিত করল। যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেটি সংশোধনের কথা বলে পাল্টা চিঠি দেন বৈশাখী। সেই চিঠি দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উচ্চশিক্ষা দফতর নিজেদের নির্দেশ স্থগিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শিক্ষা দফতর এটাও জানিয়ে দিয়েছে যে,পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল তাতে কিছু অসঙ্গতি ও  আইনি সমস্যা থাকার কারণে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জারি হওয়া নির্দেশ  স্থগিত কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে  সোমবার উচ্চশিক্ষা দফতর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো  হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পরামর্শ নিয়ে ও বিষয়টি খতিয়ে দেখে  জারি করা হবে পরবর্তী নির্দেশ।  সেই সময় পর্যন্ত স্থগিত থাকবে আগের নির্দেশটি। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায় দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পরের দিনে  উচ্চশিক্ষা দফতরের ওই চিঠি  শোভন-বৈশাখীর গোলপার্কের ফ্ল্যাটে পৌঁছোয়। ওই চিঠিতে ‘৮ অগস্ট, ২০২৫’ এই তারিখ ছিল। তারিখ দেখেই বৈশাখী প্রশ্ন তুলেছিলেন, চিঠি আসার সময় নিয়ে। এমনকি ছুটির সময়ে কীভাবে এই চিঠি তার বাড়িতে এসে পৌঁছাল তা দেখেও অবাক হয়েছিলেন।

চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে মূল আপত্তি ছিল বৈশাখীর। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা ছিল যে, ধরে নেওয়া হচ্ছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর নয়, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বরে চাকরি ছেড়েছেন । চিঠিতে জানানো হয়েছিল বৈশাখীকে ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বরের পরেও  চাকরিতে বহাল রাখার এবং তারপর রামমোহন রায় কলেজে বদলির যে  সমস্ত নির্দেশ আগে জারি হয়েছিল, সেগুলিকে বাতিল করা হচ্ছে।  যেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পরেই এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসায় অবাক হন অনেকেই।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বেনিয়াপুকুর এলাকার মিল্লি আল আমিন কলেজের অধ্যাপিকা ছাড়াও ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা তথা আর্থিক বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকও (ডিডিও)। বৈশাখী প্রথম বার ইস্তফা দেন ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর। পরিচালন সমিতির কাছে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কথা থাকলেও অস্থায়ী পরিচালন সমিতি সেই সময়ে দায়িত্ব সামলানোর কারণে তিনি রাজ্যের শিক্ষাসচিবকে ইস্তফাপত্র পাঠান। বৈশাখীর ইস্তফা গ্রহণ করার এক্তিয়ার অস্থায়ী পরিচালন সমিতির নেই বলেই সেই সময় জানিয়ে দেয় উচ্চশিক্ষা দফতর। এই কারণেই তিনি একই পদে বহাল থাকেন। তারপর বৈশাখীকে রামমোহন রায় কলেজে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর বদলি করা হলে তিনি যোগ না দিয়ে ফের ইস্তফা দেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

SIR আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা, দিনহাটায় বৃদ্ধের বাড়িতে উদয়নকে যাওয়ার নির্দেশ মমতার

যাদবপুর পোস্ট অফিসের এজেন্ট গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গ্রেফতার

‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল চাই না’, এসআইআর নিয়ে ফের সরব মমতা

‘মান্থা’ দুর্বল হলেও কাটছে না দুর্যোগ, দক্ষিণবঙ্গে ১১ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

আগরপাড়ায় NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী প্রৌঢ়ের বাড়িতে অভিষেক

‘ফলাফল বের হওয়ার পরে আপত্তি জানান’, মামলাকারীদের স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ