নিজস্ব প্রতিনিধি: সাত বছরের এক শিশুকে খুন করে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষক ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা সাধুখাঁ পাড়া এলাকায়। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম রাকেশ কাহার। অভিযোগ গত ৮ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল রাকেশ। এরপর তার পরিবার দেগঙ্গা থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে ১৩ দিন পর সোমবার বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতু গড় এলাকার একটি পুকুরের কাছ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হল রাকেশের মৃতদেহ। সোমবার পাড়ার আমবাগানে কয়েকজন কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে পুকুরের কাছে একটি বস্তা দেখতে পান। তার মধ্যে দেখা যায় একটি মৃতদেহ। এরপর নিখোঁজ শিশু রাকেশের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারাই এসে মৃতদেহ শনাক্ত করে। স্কুলের পোশাক পরে রাকেশ নিখোঁজ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারের সময় তার শরীরে সেই স্কুল ইউনিফর্ম ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাকেশ কাহারের বাবা স্বপন কাহারের সঙ্গে হারান পারুই নামে এলাকারই এক শিক্ষকের জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তার মধ্যে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটায় হারান পারুইয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শিশুটির বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষক এবং তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বপন কাহারের অভিযোগ, এলাকার শিক্ষক হারান পারুইয়ের কাছ থেকে তিনি দু লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন। ভ্যান চালিয়ে তিনি উপার্জন করেন, আর সেই টাকায় তাঁর সংসার চলে। খুব কষ্ট করে টাকা জমিয়ে এই জমি কিনেছিলেন বলে তিনি জানান। কিন্তু সেই জমি তিনি পাননি বলে অভিযোগ। এরপরই টাকা ফেরত চান স্বপন। আর তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।