নিজস্ব প্রতিবেদক: স্কুলে পিটি ক্লাস চলছিল। এক সহপাঠী দুষ্টুমি করে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের দিকে আম ছুঁড়ে দিয়েছিল। ওই ছাত্রও পাল্টা সেই বন্ধুকে আম ছুঁড়ে দেয়। আর সেই অপরাধে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ওই ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে গাল ফাটিয়ে দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গার একটি স্কুলে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে জখম ছাত্রের চিকিৎসা করা হয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ছাত্রের নাম হাসিন আরমান মণ্ডল। সে দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুবর্ণপুর এফ পি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়েছিল ওই কিশোর। স্কুলে পিটি ক্লাস চলাকালীন সে দুষ্টুমি করে বলে অভিযোগ। এরপর প্রধান শিক্ষক তাকে শিক্ষা দিতে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক পেটান। ওই ছাত্রের হাতে মুখে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে। আহত ছাত্র আরমানের পরিবারের দাবি, মারের চোটে গাল ফেটে গিয়ে রক্ত বেরিয়েছে কিশোরের। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম উত্তম কুমার দাস। ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন ওই শিক্ষক। ইতিমধ্যেই নির্যাতিত ছাত্রটির পরিবারের তরফে অভিযুক্ত শিক্ষক উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আটক করেছে ওই শিক্ষককে। আক্রান্ত কিশোরের অভিভাবক শুধু নয়, ওই শিক্ষকের শাস্তি চেয়েছেন স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ার অভিভাবকরাও। জখম ছাত্রের বাবার অভিযোগ, ‘‘মাস্টারমশাই ছেলেকে এমন মেরেছেন যে চোখে দেখা যায় না। আমরা চাই ওই প্রধানশিক্ষকের সাজা হোক। উনি এই স্কুলে থাকলে যে কোনও মুহূর্তে কোনও ছাত্রকে মেরে ফেলতে পারেন।’’ ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে সরানোর দাবি করেছেন তিনি।