নিজস্ব প্রতিনিধি: শিয়রে উত্তরাখণ্ডের নির্বাচন, তার আগেই বিতর্কিত ধর্মসভা ঘিরে সরব তৃণমূল। সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডে ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে একটি রুদ্ধদ্বার ধর্মসংসদের আয়োজন করা হয়। যার আয়োজক ছিলেন ধর্মগুরু যতি নরসিংহানন্দ। যাকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সেই সভায় মূলত হিন্দু ধর্মাবিলম্বী মানুষদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে প্রবোধানন্দ গিরিকে। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে প্রবোধচন্দ্র গিরি বলছেন, ‘মায়ানমারের মতো আমাদের পুলিশ, সেনা, রাজনীতিবিদ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। এ বার ‘সাফাই অভিযান’ চালাতে হবে।’
এটা খুবই স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত বিষয় বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডেও নির্বাচন রয়েছে, তার আগে এইধরনের ধর্ম সংসদের আয়োজন করে বিতর্কিত মন্তব্য করা হচ্ছে, যা বিরাট ক্ষতি করতে পারে। এই মর্মে হরিদ্বারের জ্বালাপুর থানায় তৃণমূলের তরফে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাকেত গোখলে জানিয়েছেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ধর্মসভার বক্তাদের গ্রেপ্তার না করা হলে আমরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলা দায়ের করব। উত্তরাখণ্ডে নির্বাচন আসন্ন। তার আগে বিজেপির সহায়তায় এই ধর্মীয় উস্কানিমূলক সভার আয়োজন হয়েছে। যদি ওই ঘৃণ্য ধর্মসভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তা হলে হরিদ্বারের গঢ়বাল রেঞ্জের আইজি থেকে শুরু করে ওসি সবাইকে ট্রান্সফার করে দেওয়া উচিত কমিশনের।’ এই সভা ঘিরেই আগেই একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির নানা কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন উত্তরাখণ্ডের ধর্মসভা।
ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয় ও হরিয়ানার পর তবে কী তৃণমূলের টার্গেট উত্তরাখণ্ড? এই প্রতিবাদের মাধ্যমেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের তরফে ছোট ছোড় রাজ্যগুলিকেই টার্গেট করা হয়েছে। যার মধ্যে উত্তরাখণ্ড থাকতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ওই বিতর্কিত ধর্মসভায় উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু রক্ষা সেনার প্রবোধানন্দ গিরি, বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী উদিতা ত্যাগী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়।