নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: টালবাহানা শেষে অবশেষে বিহারে আসন রফা চূড়ান্ত করল আরজেডি -কংগ্রেস-বামেদের মহাজোট। চূড়ান্ত আসন রফা অনুযায়ী, রাজ্যের ৪০ আসনের মধ্যে ২৬ আসনে লড়বে লালুপ্রসাদ যাদবের দল। ৯ আসন পেয়েছে কংগ্রেস। আর ৫ আসনে লড়বে সিপিআই (এম-এল)। যে আসন নিয়ে মহাজোটের আসন রফায় জট পাকিয়েছিল, সেই পূর্ণিয়া আসন কংগ্রেসকে ছাড়েননি তেজস্বী যাদবরা। ফলে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পাপ্পু যাদব কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আসন্ন লোকসভা ভোটে দিল্লির ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুবপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে বিহার। গতবার রাজ্যের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল এনডিএ। উল্টোদিকে মাত্র একটি আসন কপালে জুটেছিল আরজেডি-কংগ্রেস জোটের। গতবারের জয়ী আসন ধরে রাখতে এবারো কোমর কষে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এনডিএ’র মধ্যে আসন রফাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আরজেডি -কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে আসন রফা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জট পাকিয়েছিল।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছিল পূর্ণিয়ার বাহুবলী নেতা পাপ্পু যাদবের কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে। পূর্ণিয়া আসনে দাঁড়ানোর বিষয়ে অনড় ছিলেন আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেও পূর্ণিয়া আসনের দাবি ছাড়বেন না বলে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে ওই আসনে জেডিইউ থেকে আসা বিধায়ক ভীমা ভারতীকে আগেভাগেই প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছিল আরজেডি। পূর্ণিয়া আসন নিয়ে লালুর দলের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল কংগ্রেসের। আর মহাজোটের মধ্যে আসন রফা নিয়ে লড়াই ভোটারদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে এমন আশঙ্কায় শেষ পর্যন্ত নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে পিছু হঠে আরজেডি ও কংগ্রেস। লালুর দল যেমন কংগ্রেসকে বাড়তি একটি আসন ছেড়েছে, তেমনই পূর্ণিয়ার দাবি থেকে পিছু হঠেছে মল্লিকার্জুন খাড়গের দলও। কিন্তু পূর্ণিয়ার প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদব ওই রফা সূত্র মেনে নেবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।