নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ২জি স্ক্যামের মাস্টারমাইন্ড প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা শীর্ষস্থানীয় ডিএমকে নেতা এ রাজা।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই বুধবার কেলেঙ্কারির প্রথম চার্জশিট জমা দিল। চার্জশিটে এ রাজা ছাড়া নাম রয়েছে প্রাক্তন টেলিকম সচিব সিদ্ধার্থ বেহুরা, ইউনিটেক কর্তা সঞ্জয় চন্দ্র, ডিবি রিয়েল্টির শীর্ষকর্তা বিনোদ গোয়েঙ্কা, সোয়ান টেলিকমের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাহিদ বালওয়ার। চার্জশিটে যে সব সংস্থার নাম রয়েছে তার মধ্যে অনিল আম্বানির রিলায়্যান্সেও রয়েছে। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে রিলায়্যান্সের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রের অস্বস্তি যে বহুগুণ বেড়ে গেল তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
এর কারণ, প্রথমত কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে 5-G পরিষেবার শুভ সূচনা করেন। যে সব সংস্থা কয়েকটি শহরে এই পরিষেবা দিতে চলেছে, তার মধ্যে অনিল আম্বানির রিলায়্যান্সও রয়েছে। সেই সংস্থার নাম স্পকট্রাম কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়া যে সরকারের পক্ষে অস্বস্তিকর হয়ে উঠবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাছাড়া এই চার্জসিটে তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। যে সংস্থার বিরুদ্ধে হামেশাই অভিযোগ ওঠে অ-বিজেপি সরকার বা বিজেপি বিরোধী নেতাদের হেনস্থা করার। হেনস্থা করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রে আসীন শাসকদল।
এই টু-জি কেলেঙ্কারি নিয়ে তৎকালীন বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়। তারা দাবি তোলে সিবিআই তদন্তের। বিরোধী শিবিরের দাবি ছিল, কম দামে মুষ্টিমেয় কয়েকটি সংস্থাকে ২জি স্পেক্ট্রামের বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের দাবি মেনে তৎকালীন সরকার তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী এ রাজার নাম জড়িয়ে পড়ায় কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়বে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাদের থেকেও বেশি অস্বস্তিতে পড়বে কেন্দ্রে আসীন বর্তমান শাসকদল।