নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকঢোল পিটিয়ে নেতাজির স্ট্যাটু ইন্ডিয়া গেটের সামনে বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। যার হলোগ্রাম শিলা গত ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু আচমকাই সেই হলোগ্রামের আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের তরফে সাফাই দেওয়া হয়, প্রযুক্তিগত কারণেই এই সমস্যা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরেই সেই অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে হলোগ্রাম মূর্তিতে। যার বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নেতাজির হলোগ্রাম স্ট্যাচুর সামনে ধর্না দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। আর এই প্রতিবাদের জেরেই খবর সম্প্রচার হতেই টঙ্ক নড়ে কেন্দ্রের। তড়িঘড়ি সংস্কৃতি মন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের কমিটি জানিয়েছে, রাজনীতির প্রশ্ন নেই। প্রবল হাওয়ার কারণে কিছুক্ষণের জন্য নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তির আলো। হাওয়া কমতেই মাঝরাতে তা ফের জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ভাবে এই নিয়ম মানা হয়।
যদিও বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি মন্ত্রক এই আলো নেভানোর বিষয়ে সাফাই দেয়, টেকনিক্যাল কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় হলোগ্রাম মূর্তির প্রোজেক্টর। আর সেটা বন্ধ ২৮ জানুয়ারি থেকে। সেদিনই সেটা সারিয়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু পরের দিন আবার বিকল হয়ে যায়। তারপর থেকেই মূর্তি অন্ধকারে পড়ে রয়েছে। শুক্রবার সেই বিবৃতি থেকে সরে নতুন ‘যুক্তি’ খাড়া করেছে মোদির সরকার। ইন্ডিয়া গেটে বসবে নেতাজির সম্পূর্ণ গ্রানাইট মূর্তি। কিন্তু যত দিন না সেই মূর্তি তৈরি হচ্ছে, তত দিন হলোগ্রাম মূর্তি থাকবে সেখানে। যার আলো বন্ধ করাকে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার ধর্নায় বসেন সৌগত-সুখেন্দু শেখর রায়রা। যদিও কেন্দ্রের শুক্রবারের দেওয়া বক্তব্যের পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, ‘এটা পাপীরা করে। নেতাজির মত বীর মানুষের মূর্তির আলো বন্ধ করে দেয় পাপীরাই।’