নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মণিপুরে দুই কুকি যুবতীকে নগ্ন করে ঘোরানোয় অভিযুক্তদের দুই মাস ধরে গ্রেফতার করতে পারেনি বিজেপি শাসিত মণিপুরের পুলিশ। তাতে কী! ওই লজ্জার ভিডিও দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার অপরাধে জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রের তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ওই সংবেদনশীল ভিডিও আপলোড করার ফলে মণিপুরে ফের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। আইনভঙ্গের দায়ে তাই টুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ওই সংবেদনশীল ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার টুইটারে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দুই কুকি যুবতীকে নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মেইতেই গোষ্ঠীর একদল দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, দুই যুবতীকে নগ্ন করে হাঁটিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের উপরে যৌন নির্যাতনও চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। আর সেই দৃশ্য মোবাইল বন্দি করা হয়েছে। একঝাঁক নরপিশাচের হাত থেকে রেহাই পেতে হাতজোড় করে আকুল আর্তি জানিয়েছিলেন দুই যুবতী। কিন্তু রেহাই দেয়নি নরপিশাচরা। ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ২০ বছর বয়সী তরুণীকে গণধর্ষণও করে নরপিশাচরা।
ওই সংবেদনশীল ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। মণিপুরের বিজেপি সরকার ওই ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা দু’মাস আগে জানলেও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল। যদিও সফল হয়নি। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে ক্ষোভে ফুঁসছে কুকি জনজাতি গোষ্ঠী। ফের পথে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে না পারলে কী হবে, ওই লজ্জার ঘটনা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অবদান রাখায় টুইটারকে সবক শেখাতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।